যুবদল নেতা হত্যা মামলার রায় পুনঃবিবেচনার দাবিতে লক্ষ্মীপুরে সাজাপ্রাপ্ত ৭ আসামীর পক্ষে মানববন্ধন

মুনাজ | প্রকাশিত: ৯ জানুয়ারী ২০২২, ০৮:১০

যুবদল নেতা হত্যা মামলার রায় পুনঃ বিবেচনার দাবিতে লক্ষ্মীপুরে সাজাপ্রাপ্ত ৭ আসামীর পক্ষে মানববন্ধন

লক্ষ্মীপুরে হত্যা মামলার ৭ জন যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামীর মুক্তির দাবীতে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা। শনিবার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে সদর উপজেলা দত্তপাড়া বাজার এলাকায় ‘ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ব্যানারে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন তারা।

চাঞ্চল্যকর ইউনিয়ন যুবদল নেতা আনোয়ার হোসেন হত্যা মামলায় একই পরিবারের ৬জনসহ ৭ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় আদালত। এ মামলার সাবেক ইউপি সদস্য আ’লীগ নেতা মো. আবদুল আজিজ মেম্বার ও তার ৫ ছেলেকে ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে ফাঁসানো হয়েছে উল্লেখ করে আদালতের রায় পুনঃবিবেচনার দাবী করেছেন মানববন্ধনে উপস্থিত নেতাকর্মীরা।

দত্তপাড়া ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান এটিএম কামাল উদ্দিনের নেতৃত্বে আয়োজিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগ নেতা শাহজাহান কামাল, যুবলীগ নেতা মনির হোসেন রুবেল, মঞ্জুরুর হাসান টিটু, দত্তপাড়া ইউনিয়ন আ'লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম খলিল, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি কাজী নিজাম, সাধারণ সম্পাদক আল আমিন গাজী প্রমূখ। এসময় উপস্থিত ছিলেন দত্তপাড়া কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি কাজী হিরন, সাধারণ সম্পাদক জহিরুর ইসলামসহ আ’লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ বাজারের ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা।

উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ৪ জুন সন্ধ্যায় দত্তপাড়া বাজারে প্রায়াত ইউপি চেয়ারম্যান নুর হোসেন শামীমের নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি আনোয়ার হোসেনকে গুলি করে হত্যা করে জড়িতরা। সে ইউপি চেয়ারম্যান শামীমের ছোট ভাই। এ ঘটনায় পরের দিন দত্তপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ইউপি সদস্য মো. আবদুল আজিজ মেম্বারকে প্রধান আসামী করে ২৫জনের নাম উল্লেখ করে সদর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের বড় ভাই মো. আশেক ই এলাহী ওরফে বাবুল। মামলাটি প্রথমে সদর থানা পুলিশ তদন্ত করলেও পরে সিআইডি নোয়াখালীকে তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়। সিআইডি মামলায় ১৮জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

সোমবার (৩ জানুয়ারি) দীর্ঘ শুনানী শেষে এবং ১৪ জনের সাক্ষ্য প্রমানের ভিত্তিতে আদালত আজিজ মেম্বার ও তার ৫ ছেলেসহ ৭জনকে যাবজ্জীবন কারাদ-াদেশ দেন জেলা ও দায়রা জজ আদালত। জড়িত প্রমানিত না হওয়ায় মামলার ১১ আসামীকে বেকসুল খালাশ দেন আদালত। সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে ইসমাইল ও আবুল কাশেম মেম্বার জেল হাজতে থাকলেও বাকী আসামীরা পলাতক রয়েছে।

এনএফ৭১/এমএ/২০২২




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top