ঘোড়াঘাটে হামিদ হত্যা মামলার জট খুলেছে গ্রেফতার ১জন
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট থেকে | প্রকাশিত: ১৭ জানুয়ারী ২০২২, ০৫:১৫
অবশেষে ঘোড়াঘাটে হামিদ হত্যার জট খুলেছে। আত্মহত্যার প্ররোচনায় হামিদ আত্মহত্যা করেছে। এ ব্যাপারে ঘোড়াঘাট থানায় গতকাল রাতে একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ মামলায় রাতেই ঘোড়াঘাট থানা পুলিশ আব্দুল হামিদের জামাতা ১ নং আসামী হায়দার নগর গ্রামের মৃত তছির ইসলামের পুত্র হাজিরুল ইসলাম (৪৫) কে গ্রেফতার করেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে ৩ ডিসেম্বর শুক্রবার জুম্মার নামাজের সময় উপজেলার কশিগাড়ী গ্রামের আফসারাবাদ কলোনী এলাকায়। পুলিশ একই দিনে সন্ধ্যায় আব্দুল হামিদের ঝুলন্ত লাস উদ্ধার করে একটি ইউডি মামলা রুজু করে ময়না তদন্তের জন্য দিনাজপুর মর্গে প্রেরণ করেন। এ ঘটনায় ৬ ডিসেম্বর সোমবার আব্দুল হামিদের ছোট ভাই আব্দুর রহিম বাদী হয়ে ৬ জনকে অভিযুক্ত করে ঘোড়াঘাট থানায় একটি হত্যা মামলার এজাহার দাখিল করেন। বাদী তার এজাহারে আব্দুল হামিদের স্ত্রী জাহানারা বেগম(৫০), পুত্র ছাদ্দাম হোসেন(৩৫), কন্যা কেয়া বেগম, জামাতা হাজিরুল ইসলাম ও শ্যালিকা ফাতেমা বেগম(৪৫) ও পুত্র বধু আয়েশা বেগম কে অভিযুক্ত করে একটি এজাহার দাখিল করেছিলেন।
জানা গেছে, কশিগাড়ী গ্রামের আফসারাবাদ কলোনী এলাকার মৃত সাহার উদ্দিনের ছেলে আব্দুল হামিদ একজন হানিফ এন্টারপ্রাইজ এর রানীগঞ্জ বাজারে কাউন্টার মাষ্টার ছিলেন। তার ছেলে, মেয়ে, স্ত্রী তাকে বিভিন্নভাবে শারীরিক ও মানসিক ভাবে নির্যাতন করে জমাজমি বাড়িঘর লিখে নেয়। এরপরও তারা শারীরিক ও মানসিক ভাবে নির্যাতন চালায়। এ নিয়ে স্থানীয় লোকজন একাধিকবার দেন-দরবারও করেন। কিন্তু আব্দুল হামিদের ছেলে, মেয়ে, জামাই ও স্ত্রী আরো বেশি করে নির্যাতন চালাতে থাকে।
এ ব্যাপারে ঘোড়াঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ আবু হাসান কবির জানান, স্থানীয় প্রায় শতকরা ৭৫ ভাগ লোক আব্দুল হামিদ কে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের কথার সাক্ষ্য দেন ও এর সুষ্ঠু বিচার দাবী করায় ইউডি মামলাটির ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসার পর আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলা রুজু করা হয়েছে।
এনএফ৭১/এনজেএ/২০২২
বিষয়: ঘোড়াঘাট
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।