মহিলা কলেজের বেতন ভাতা আটকে রেখেছেন ব্যাংক ম্যানেজার
মুনাজ | প্রকাশিত: ১৯ জানুয়ারী ২০২২, ০৮:৪৩
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির আদেশ উপেক্ষা করে আমতলী সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক মোঃ কাওসার মোল্লা বকুলনেছা মহিলা কলেজের শিক্ষক কর্মচারীদের বেতনভাতা আটকে রেখেছেন। এ ঘটনায় কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোছাঃ ফেরদৌসি আক্তার সোনালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
জানাগেছে, আমতলী বকুলনেছা মহিলা ডিগ্রী কলেজের জাল সার্টিফিকেটধারী পদত্যাগকৃত মোঃ ফোরকান মিয়া কলেজের বেতনভাতা চেয়ে গত নভেম্বর মাসে হাইকোর্টে রিট করেন। উচ্চ আদালতের বিচারক ইউএনও ও তার স্বাক্ষরে বেতনভাতা দেয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। ওই আদেশের বিরুদ্ধে কলেজের এডহক কমিটির সভাপতি মোঃ গোলাম সরোয়ার টুকু সুপ্রিমকোর্টে আপিল করেন।
গত ৩ জানুয়ারী প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, বিচারপতি মোঃ নুরুজ্জামান ও ওবায়দুল হাসানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ শুনানী শেষে ফোরকান মিয়ার রিটের আদেশ স্থগিত করেন সভাপতির গোলাম সরোয়ার টুকুর স্বাক্ষর ও অধ্যক্ষের স্বাক্ষরে বেতনভাতা দেয়ার আদেশ দেন। প্রধান বিচারপতির এ আদেশের কপি আমতলী সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক মোঃ কাওসার মোল্লার কাছে দেন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ। কিন্তু তিনি এ আদেশ অমান্য করে শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন ভাতা না দিয়ে টালবাহানা করতে থাকেন। গত ১০ দিনেও তিনি বেতন ভাতা দেয়নি। বেতন ভাতা না পেয়ে শিক্ষক কর্মচারীরা মানবেতন জীবন যাপন করছে। শিক্ষকরা সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক মোঃ কাওসার মোল্লার বিরুদ্ধে প্রধান বিচারপতির আদেশ অমান্য করে বেতনভাতা বন্ধের ঘটনায় শাস্তি দাবী করেছেন। এ ঘটনায় কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোছাঃ ফেরদৌসী আক্তার ব্যবস্থাপকের বিরুদ্ধে সোনালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
বকুলনেছা মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মোছাঃ ফোরদৌসী আক্তার বলেন, সোনালী ব্যাংক ব্যবস্থাপক মোঃ কাওসার মোল্লা প্রধান বিচারপতির আদেশ উপেক্ষা করে শিক্ষক কর্মচারীদের বেতনভাতা আটকে দিয়েছেন। তিনি অজ্ঞাত কারনে বিভিন্ন অযুহাতে বেতনভাতা দিতে টালবাহানা করছেন। গত ১০ দিনেও তিনি শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন ভাতা দেয়নি।
আমতলী সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক মোঃ কাওসার মোল্লা বলেন, সোনালী ব্যাংকের ল’এডভাইজারের পরামর্শ মতে কলেজের শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন ভাতা দেইনি।
এনএফ৭১/এমএ/২০২২
বিষয়: আমতলী সুপ্রিম কোর্ট
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।