ঘোড়াঘাটে রিসান হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত চাকু উদ্ধার

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট থেকে | প্রকাশিত: ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২২, ০৪:২৫

আটক আল আমিনের দেয়া তথ্য মতে তার উপস্থিতিতে ডোবা থেকে আর একটি চাকু উদ্ধার করে পুলিশ

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে ৮ম শ্রেণীতে পড়ুয়া কিশোর রিসান হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ২য় চাকু উদ্ধার করেছে ঘোড়াঘাট থানা পুলিশ। এ হত্যাকান্ডে ছায়া তদন্তে নামে র‌্যাব-১৩ রংপুর।

৩০ জানুয়ারি র‌্যাব- ১৩ রংপুর এর একটি চৌকস টিম ঘোড়াঘাট উপজেলার রাণীগঞ্জ এলাকার দক্ষিণ দেবীপুর গ্রামের বেলাল উদ্দিনের ছেলে স্বাধীন (১৯), একই গ্রামের উজির উদ্দিনের ছেলে পরশ (১৪) ও কশিগাড়ী গ্রামের ড্রাইভার আব্দুর রউফ এর ছেলে আল আমিন (১৭) কে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। র‌্যাব-১৩ একই দিন আটককৃতদের নিকট থেকে তাদের ব্যবহৃত একটি মোবাইল ফোন ও তাদের দেয়া ভাষ্য মতে আল আমিনের বাড়ি সংলগ্ন একটি ডোবা থেকে মাঝারি সাইজের একটি ছুরি উদ্ধার করে। ৩১ জানুয়ারি র‌্যাব-১৩ রংপুর ক্যাম্পের উপ-অধিনায়ক মেজর সৈয়দ মইদুল ইসলাম এ হত্যাকান্ডে আটককৃতদের জবানবন্দি মোতাবেক এক সংবাদ সম্মেলন করেন।

সংবাদ সম্মেলন শেষে একই দিন বিকেলে র‌্যাব-১৩ আটককৃতদের ঘোড়াঘাট থানায় হস্তান্তর করেন। ঘোড়াঘাট থানার পুলিশ আটককৃতদের অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদে এ হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত আরো একটি চাকুর তথ্য পায়। ১লা ফেব্রুয়ারী ঘোড়াঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ আবু হাসান কবিরের নেতৃত্বে ঘোড়াঘাট ফায়ার সার্ভিসের একটি টিম আটক আল- আমিনকে সঙ্গে নিয়ে তার বাড়ী সংলগ্ন পশ্চিমে একটি ডোবার পানি সেচ দিয়ে আল-আমিনের দেখে দেয়া নির্দিষ্ট স্থান থেকে ২য় চাকুটি উদ্ধার করে।

এ ব্যাপারে ঘোড়াঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ আবু হাসান কবিরের সাথে কথা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, আটককৃতদের গতকাল জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

জানা গেছে, রিসান ২০ হাজার টাকা সুদের উপরে স্বাধীনের নিকট থেকে ১০ মাস পূর্বে গ্রহণ করে। এ টাকার ৩ মাস সুদের টাকা দিলেও ৭ মাসে দিতে না পারায় এ হত্যাকান্ডের পরিকল্পনা করে স্বাধীন। পরিকল্পনা অনুযায়ী ২৯ জানুয়ারি রিসানকে ফোনে ডেকে নেয় স্বাধীন ও তার দুই কিশোর বন্ধু। ২৯ জানুয়ারি রাত ১০টায় তারা রানীগঞ্জ গো-হাটির পাশে একটি ভ্রাম্যমাণ হোটেলে এ হত্যাকান্ড সংঘটিত করে।

 

এনএফ৭১/এনজেএ/২০২২




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top