পাবনা জেনারেল হাসপাতালের সহকারি পরিচালককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা

পাবনা থেকে | প্রকাশিত: ৯ মে ২০২২, ০৯:৫৪

পাবনা জেনারেল হাসপাতালের সহকারি পরিচালককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা

অনিয়ম, হাসপাতালে চিকিৎসক-কর্মচারীদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণ, প্রশাসনিক কোন সহযোগিতা না করা এবং এক চিকিৎসক শারীরিকভাবে লাঞ্চিত হবার ঘটনায় ব্যবস্থা গ্রহণ না করার অভিযোগে পাবনা জেনারেল হাসপাতালের সহকারি পরিচালককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন চিকিৎসক-কর্মচারীরা।

রোববার (৮ মে) সকাল আটটার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসক কর্মকর্তারা একত্রিত হয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে। সাড়ে আটটার দিকে হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ওমর ফারুক মীর প্রশাসনিক ভবনে তার চেম্বারে ঢুকতে গেলে চিকিৎসক কর্মকর্তারা বাঁধা দেয়। এ সময় বিক্ষোভকারীদের সাথে সহকারী পরিচালকের ধাক্কাধাক্কি হয়। এক পর্যায় বিক্ষোভকারীরা সহকারী পরিচালককে হাসপাতালে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ এই সহকারী পরিচালক হাসপাতালে যোগদানের পর থেকে অনিয়ম, অব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে হাসপাতালের প্রশাসনিক কাজ চালাচ্ছেন। সম্প্রতি পাবনা সদর উপজেলার টেবুনিয়া বাজার এলাকায় কতিপয় সন্ত্রাসী পাবনা জেনারেল হাসপাতালের নাক, কান ও গলা বিশেজ্ঞ ডাঃ কামরুজ্জামান নয়নকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। বিষয়টি হাসপাতালের পরিচালককে জানানো হলেন তিনি কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি।

অবাঞ্ছিত ঘোষণার বিষয়ে সহকারী পরিচালক ডাঃ ওমর ফারুক মীর বলেন, অফিসের মধ্যে রয়েছি। বাইরে বেশকিছু চিকিৎসক ও কর্মচারীরা অবস্থান করছেন। অবরুদ্ধ নাকি অবাঞ্ছিত সেটা আমি নিশ্চিত নই।

অযোগ্য, অদক্ষ ও অসৌজন্যমূলক আচরণসহ বিভিন্ন অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি আরো বলেন, নতুন যোগদান করেছি। অনেকেই নানা তদবির, সুপারিশ, সুযোগ সুবিধা অনৈতিক ভাবে না পেয়ে আমার উপর ক্ষুব্ধ হয়েছেন। এটা তারই বর্হিপ্রকাশ।

পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) আবুল কালাম বলেন, চিকিৎসক কামরুজ্জামান নয়ন থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন। মামলা নয়। জিডি গ্রহণের পর নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করছে পুলিশ।

পাবনার সিভিল সার্জন ডাঃ মনিসর চৌধুরী বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কিছু জানায়নি। তবে লোক মুখে শুনেছি সহকারী পরিচালককে অবরুদ্ধ বা অবাঞ্ছিত করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমাকে লিখিতভাবে জানালে বিষয়টির প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

এনএফ৭১/আরআর/২০২২




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top