ভবন থেকে লাফিয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থীর আত্মহত্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১৫ জুন ২০২২, ০২:৪২

ভবন থেকে লাফিয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থীর আত্মহত্যা

চুয়াডাঙ্গার বাসা থেকে সোমবার (১৩ জুন) সকাল ৮টায় প্রাইভেট পড়ার জন্য বের হয় এসএসসি পরীক্ষার্থী জুয়েল রানা ওরফে তমাল। সাড়ে ১১টায় তার মরদেহ পাওয়া যায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে।

পুলিশ বলছে, সে আত্মহত্যার উদ্দেশ্যে ভবন থেকে লাফিয়ে পড়লে তাকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে পরিবারের দাবি- এই শিক্ষার্থীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। এ অবস্থায় তার মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধূম্রজালের সৃষ্টি হয়েছে। এই ঘটনার রহস্য উন্মোচনে কাজ করছে পুলিশ, পিবিআই ও সিআইডি।

তমাল চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা শহরের থানাপাড়া এলাকার মাসুদ রানার ছেলে। আলমডাঙ্গা সরকারি পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র ছিলো। তার বাবা মাসুদ পেশায় ব্যবসায়ী ও উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক। সামনে এসএসসি পরীক্ষা থাকায় তমাল পড়াশোনা আর প্রাইভেট নিয়ে সারাক্ষণ ব্যস্ত থাকত।

কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ বলছে, সোমবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের কাটাইখানা মোড়ে সমবায় ভবনের চারতলা থেকে ঝাঁপ দিয়েছিল তমাল। এতে গুরুতর আহত হলে কয়েকজন তরুণ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। হাসপাতালের মর্গে গিয়ে দেখা যায়, তমালের মরদেহে কোনো জখমের চিহ্ন নেই। তবে নাক ও মুখে রক্ত আছে। এ ছাড়া বাম হাতের কনুইয়ের নিচে কালো দাগ আছে।

নিহতের বাবা মাসুদ বলেন, দুই ভাইবোনের বড় তমাল। মেধাবী ছাত্র ছিল সে। তমাল কখনও কুষ্টিয়া যায়নি।

তার কাছে তেমন টাকাও থাকে না। তার বন্ধুরা তাকে সেখানে ডেকে নিয়ে থাকতে পারে। এ ছাড়া রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বা ব্যবসায়িক শত্রুতা থেকে তমালকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। আলমডাঙ্গায় কিছু করতে পারবে না জেনে তাকে কুষ্টিয়ায় নিয়ে খুন করা হয়েছে।

থানা পুলিশ আত্মহত্যার কথা বললেও সিআইডির এক কর্মকর্তা বলেন, যে ভবন থেকে ঝাঁপ দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে সেখানে এমন কোনো আলামত মেলেনি। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের জন্য অপেক্ষা করতে হবে।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওসি নাসির উদ্দীন বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি আত্মহত্যা। তবে যারা তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেছে তাদের খোঁজা হচ্ছে। এরই মধ্যে কয়েকজনকে শনাক্ত করা গেছে।




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top