লক্ষ্মীপুরে কাঠমিস্ত্রী আহসান উল্যাহ হত্যা মামলায় ৭জনের যাবজ্জীবন কারাদন্ড
লক্ষীপুর থেকে | প্রকাশিত: ১৭ জুন ২০২২, ১০:৩২
লক্ষ্মীপুর সদরের বশিকপুর এলাকায় কাঠমিস্ত্রি আহসান উল্যাহকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা মামলায় ৭ আসামীকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (১৬ জুন) বেলা ১১টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো,রহিবুল ইসলাম এ রায় প্রদান করেন। দন্ডপ্রাপ্ত আসামীরা হচ্ছে, বশিকপুরের মুরাদ হোসেন, জাকির হোসেন, রিপন হোসেন,নিশান উদ্দিন, সুমন হোসেন, জামাল উদ্দিন ও আলমগীর হোসেন। এদের মধ্যে সুমন হোসেন রায়ের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন। অন্য ছয় আসামী জামিনে গিয়ে পলাতক রয়েছে। এছাড়া দন্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেক আসামীকে ১০ হাজার টাকা করে অর্থদন্ড ও অনাদায়ে আরো এক বছর করে কারাদন্ডের আদেশও দেন আদালত।
রাষ্টপক্ষের আইনজীবী জসিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ২০১৪ সালের ২৬ জুলাই রাত আড়াইটার দিকে কাঠমিস্ত্রী আহসান উল্যাহকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। দীর্ঘ নয় বছর পর এই মামলার রায় দিয়েছেন আদালত। এ রায়ে খুশি বাদী ও রাষ্ট্রপক্ষ।
আদালত ও মামলা সূত্র জানায়, সদর উপজেলার বাশিকপুরের নন্দিগ্রাম এলাকায় ২০১৪ সালের ২৬ জুলাই রাত আড়াইটার দিকে কাঠমিন্ত্রী আহসান উল্যাহকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এর আগে পোদ্দার বাজার থেকে কাঁঠাল বিক্রি করে বাড়ি ফিরছিলেন আহসান উল্যাহ। পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করা হয়। ওই দিনই নিহত আহসান উল্যাহর ছেলে মো. আলম বাদী হয়ে সদর থানায় ৬/৭জনকে অজ্ঞাত আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ২০১৫ সালের ২৬ জুন ৭জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে প্রতিবেদন দেয় পুলিশ।
অভিযুক্ত আসামীরা হচ্ছেন, সদর উপজেলার নন্দীগ্রামের সিরাজ মিয়ার ছেলে মুরাদ হোসেন ও আবু সায়েদের ছেলে মো. সুমন হোসেন এবং বশিকপুর এলাকার মো. বাবুল হোসেনের ছেলে জাকির হোসেন,একই এলাকার আবু সায়েদের ছেলে রিপন হোসেন,সাহাবুদ্দিনের ছেলে নিশান হোসেন। এছাড়া একই এলাকার জামাল উদ্দিন ও আলমগীর হোসেন। দীর্ঘ শুনানী শেষে প্রায় ৯ বছর পর এই মামলার রায় দেন আদালত।
জেলা জজ আদালতের সরকারী কৌশলী অ্যাডভোকেট মো. জসীম উদ্দীন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ২০১৪ সালের ২৬ জুলাই রাত আড়াইটার দিকে কাঠমিস্ত্রী আহসান উল্যাহকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এ মামলায় ৭ আসামীকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের রায় প্রদান করেন আদালত। এছাড়া দন্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেক আসামীকে ১০ হাজার টাকা করে অর্থদন্ড ও অনাদায়ে আরো এক বছর করে কারাদন্ডের আদেশও দেন আদালত। দীর্ঘ নয় বছর পর এই মামলার রায় দিয়েছেন আদালত। এই রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ ও বাদী সন্তষ্ট প্রকাশ করেছেন বলে জানান তিনি।
এনএফ৭১/আরআর/২০২২
বিষয়: লক্ষীপুর হত্যা মামলা আসামী যাবজ্জীবন আদালত
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।