বড়পুকুরিয়া কয়লাখনিতে কয়লা উৎপাদন শুরু

মুনাজ | প্রকাশিত: ২৮ জুলাই ২০২২, ০৬:০৫

বড়পুকুরিয়া কয়লাখনিতে কয়লা উৎপাদন শুরু

প্রায় তিন মাস পর দিনাজপুরের পার্বতীপুরে বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি থেকে কয়লা উৎপাদন শুরু হয়েছে। 

এ ব্যাপারে বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানী লিমিটেড (বিসিএমসিএল) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এম.ডি) প্রকৌশলী মোঃ সাইফুল ইসলাম সরকার জানান, আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৯টায় পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান জুম মিটিং এ যুক্ত হয়ে কয়লা খনির নতুন ফেজ ১৩০৬ নম্বর থেকে কয়লা উৎপাদনের শুভ উদ্বোধন করেন। এ সময় কয়লা খনির অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। তিনি আরো বলেন, খনির ১৩১০ নম্বর ফেজের কয়লার মজুদ শেষ হওয়ায় গত ১ মে থেকে কয়লা উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। 

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর (জিএসবি) ১৯৮৫ সালে দিনাজপুরের পার্বতীপুরে বড়পুকুরিয়া কয়লা ক্ষেত্র আবিস্কার করে। বড়পুকুরিয়া কয়লা ক্ষেত্রে এম/এস ওয়ার্ডেল আর্মস্ট্রং (ইউকে ভিত্তিক সংস্থা) একটি বিস্তারিত সম্ভাব্যতা ষ্টাডি সম্পন্ন করে। উক্ত ষ্টাডির অন্তর্গত প্রধান কাজ হলো ৩৩টি বোরহোল খনন, বেসিনের সীমানা ও কাঠামো নির্ধারন, কয়লা স্তরের বৈশিষ্ট্য, গুণগতমান, মাইনিং পদ্ধতির প্রাথমিক ধারনা, মোট মজুদ, সিমের পুরুত্ব ও ভূ-জ্বলীয় অবস্থা ইত্যাদি নির্ধারন করা। পরবর্তীতে চাইনিজ কোম্পানী সিএমসি’র সাথে ১৯৯৪ সালের ৭ ফেব্রুয়ারী খনি উন্নয়নের জন্য টার্ন-কি ভিত্তিতে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এ চুক্তির আওতায় শ্যাফট, পিটবটম রোডওয়ে উন্নয়ন সম্পন্ন ০০৬ঊয়ার পর ২০০৫ সালের ৪ জুন বিসিএমসিএল ও চাইনিজ কনসোর্টিয়াম (এক্সএমসি-সিএমসি) এর মধ্যে ৪ দশমিক ৭৫ মিলিয়ন মেঃটন কয়লা উত্তোলনের জন্য ৭১ মাস মেয়াদী প্রথম ম্যানেজমেন্ট এন্ড প্রডাকশন (এমএন্ডপি) চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এ চুক্তির কাজ ২০০৫ সালের সেপ্টেম্বরে শুরু হয়ে ২০১১ সালের আগষ্ট মাসে শেষ হয় এবং এ সময়ে ৩ দশমিক ৬৫১ মিলিয়ন মেঃটন কয়লা সেন্ট্রাল পার্ট হতে উত্তোলন করা হয়। এরপর আবারও ৬ বছরের চুক্তি হয় যা ২০১৭ সালের ১০ আগষ্ট শেষ হয়। এ সময় ৫ দশমিক ৫০৪ মিলিয়ন মেঃটন কয়লা সেন্ট্রাল পার্ট হতে উত্তোলন করা হয়। পরবর্তীতে আবারও চার বছরের চুক্তি হয় যা ২০১৭ সালের ১১ আগষ্ট শুরু হয়ে ২০২১ সালের ১০ আগষ্ট শেষ হয়। 

বড়পুকুরিয়া কোল বেসিনের বিস্তৃতি ৬ দশমিক ৬৮ বর্গকিলোমিটার। এখানে কয়লা মজুদের পরিমান ৩৯০ মিলিয়ন মেঃটন। কয়লাখনি থেকে প্রাপ্ত উচ্চ উদ্ধায়ী বিটুমিনাস শ্রেনী হতে সাব বিটুমিনাস শ্রেনীর অন্তর্গত। এ কয়লায় ক্ষতিকারক উপাদান সালফারের পরিমান শুণ্য দশমিক ৫৩ ভাগ এবং তাপ দহন ক্ষমতা ১১ হাজার ৪০ বিটিউ পার পাউন্ড।




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top