কোচিং সেন্টারে শিক্ষকের হামলার শিকার হন দুই সাংবাদিক

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০৪:৩৭

কোচিং সেন্টারে শিক্ষকের হামলার শিকার হন দুই সাংবাদিক

নীলফামারীর ডিমলায় শিক্ষক স্বদেশচন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে স্থানীয় দুই সাংবাদিককে মারধর করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযুক্ত ঝুনাগাছ চাপানী দুদিয়া পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।

বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টায় উপজেলার চাপানি বাজারের পাশে ওই শিক্ষকের কোচিং সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে।

মারধরের শিকার সাংবাদিক মামুন অর রশিদ বাদী হয়ে ঘটনার দিন রাতে ডিমলা থানায় স্বদেশচন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, এসএসসি পরীক্ষার জন্য ১২ সেপ্টেম্বর থেকে পরীক্ষা চলাকালীন কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশ রয়েছে। কিন্তু সরকারি নির্দেশ উপেক্ষা করে নিজ বাড়িতে কোচিং সেন্টার খোলা রেখে ছাত্রদের পড়াচ্ছিলেন স্বদেশচন্দ্র। এ বিষয়ে বুধবার বিকেলে সংবাদ সংগ্রহ করতে ওই কোচিং সেন্টারে গেলে স্বদেশচন্দ্রের হামলার শিকার হন ‘দৈনিক আলোকিত’ পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার মামুন অর রশিদ ও ‘দৈনিক একুশের বানী'র স্টাফ রিপোর্টার মশিয়ার রহমান।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মামুন অর রশিদ বলেন, স্বদেশচন্দ্রের বাড়িতে গিয়ে আমরা দেখি সরকারের নির্দেশনা না-মেনে সেখানে তিনি কোচিং করাচ্ছেন। কোচিং সেন্টারে তখনও ৫০-এর বেশি শিক্ষার্থী ছিল। তাদের মধ্যে চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষার্থীও রয়েছে। কথা বলতে কয়েকজন শিক্ষার্থীর কাছে গেলে তারা কোনো কথা না বলে দ্রুত স্থান ত্যাগ করে। তখন স্বদেশচন্দ্র উত্তেজিত কণ্ঠে বলেন, কার অনুমতি নিয়ে এখানে এসেছেন? তিনি এ সময় দুর্ব্যবহার করেন এবং হামলা করে আমাদের মোবাইল ফোন ও ক্যামেরা ছিনিয়ে নেন।

মশিয়ার রহমান জানান, ক্যামেরা চলাকালে তিনিও মারধরের শিকার হন। ক্যামেরা কেড়ে নিয়ে মারতে মারতে তাকে রাস্তায় বের করে দেওয়া হয়। এ সময় ওই শিক্ষক সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন বলেও জানান তারা।

এ বিষয়ে জানতে স্বদেশচন্দ্রের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিয়েও সাড়া পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন বলেন, ওই শিক্ষককে শোকজ করা হয়েছে। আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে জবাব দিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এনএফ৭১/আরআর/২০২২




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top