চুয়াডাঙ্গায় এ্যাপোলো ক্লিনিকে এক প্রসূতির পাঁচ সন্তান জন্ম
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি | প্রকাশিত: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১১:১১
চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের বাজার এলাকায় এ্যাপোলো ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার সালেমা খাতুন নামের এক গৃহবধূ নরমালে ডেলিভারিতে পাঁচ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন। জন্ম নেওয়া পাঁচটি সন্তানের একটিও বেঁচে নেই।
বৃহস্পতিবার (২২ নভেম্বর) জেলার দামুড়হুদা উপজেলার কানাঈডাঙ্গা গ্রামের দক্ষিণ পাড়ার ঝন্টু'র স্ত্রী ও একই গ্রামের লোকমান আলীর মেয়ে সালেমা খাতুন (২৬) সন্ধ্যা ৭টার দিকে এ্যাপোলো ক্লিনিকে একে একে পাঁচটি সন্তান জন্ম দেন। জন্মের কিছুসময় পরই পাঁচটি সন্তানের মৃত্যু হয়। সুস্থ রয়েছেন প্রসূতি গৃহবধূ।
গৃহবধূর স্বামী ঝন্টু মিয়া জানান,বিকালে স্ত্রী'র পেটে ব্যথা হলে দ্রুত তাকে কার্পাসডাঙ্গা এ্যাপোলো ক্লিনিকে নিয়ে যায়। এরপর একে একে পাঁচটি সন্তান প্রসব করেন। এরই কিছুক্ষণ পরে আমার পাঁচটি সন্তান আল্লাহপাকের ডাকে সাড়া দিয়ে পৃথিবী থেকে চলে যায়। এ সময় তিনি কান্নাজনিত কন্ঠে বলেন, আমাদের সংসার জীবনের প্রায় ১০ বছর পর সন্তানের মুখ দেখলাম। কিন্তু পাঁচটি সন্তানের কেউই বেঁচে রইল না। আল্লাহর কাছে দোয়া করি আমার সন্তানেরা যেনো ভালো থাকেন। বর্তমান আমার স্ত্রী সুস্থ আছেন।
এ্যাপোলো ক্লিনিকের পরিচালক মামুনুর রশীদদের সাথে কথা বলে জানা যায়, সন্ধ্যার আগে একজন প্রসূতিকে পেটে ব্যাথা নিয়ে তার স্বামী আমাদের ক্লিনিকে আসেন।ক্লিনিকে আসার পরই তিনি একটি সন্তান প্রসব করেন। এরপর কর্তব্যরত চিকিৎসকের সহযোগিতায় পরপর আরো চারটি সন্তান জন্ম নেয়। এরই কিছু সময়ের মধ্যে জন্ম নেওয়া পাঁচটি সনৃতনের মৃত্যু হয়। এ বিষয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক মাসুমা ফেরদৌস নিউজ ফ্লাশ ৭১ কে জানান, প্রসূতির গর্ভে বাচ্চাদের বয়স হয়েছিল সাড়ে চার মাস। মূলত তার জরায়ুতে সমস্যা ছিলেন। ফলে তিনি অপুষ্ট অবস্থায় সন্তান প্রসব করে। সন্তানের মধ্যে ছিলো একটি মেয়ে, দুটি ছেলে এবং বাকী দুটো বাচ্চা এক ও অপরের সঙ্গে জোড়া থাকার ফলে চিহ্নিত করা সম্ভব হয়নি। গৃহবধূ প্রসূতি নারী বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন, তিনি সুস্থ। পারিবারিকভাবে জানা গেছে জন্ম নেওয়া পাঁচটি শিশুর কানাঈডাঙ্গায় স্থানীয় কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হবে।
এনএফ৭১/আরআর/২০২২
বিষয়: চুয়াডাঙ্গা প্রসূতি সন্তান জন্ম
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।