পুলিশের ধাওয়া ধাওয়া খেয়ে নদীতে পড়ে যুবক নিখোঁজ
নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ২৬ নভেম্বর ২০২২, ১০:৪৩
ভোলায় জুয়া খেলার সময় পুলিশের ধাওয়া খেয়ে মো. নোমান হোসেন (২৭) নামের এক যুবক নদীতে পড়ে নিখোঁজের ঘটনায় পুলিশের দুই কর্মকর্তা দৌলতখান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) স্বরুপ কান্তি পাল ও সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. সোহেল রানা-কে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
এর আগে, এই ঘটনায় মো. রাসেল ও সজিব নামের পুলিশের দুই কনস্টেবলকে বরখাস্ত করা হয়। এ নিয়ে পুলিশের চার সদস্য বরখাস্ত হলেন।
শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে দৌলতখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকির হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সর্বশেষ উদ্ধার অভিযান প্রসঙ্গে দৌলতখান ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার মো. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘গতকাল বিকেল ৫টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চালানো হয়। পরে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চালিয়েও নোমানের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।’ নদীতে তীব্র স্রোত ও পানির চাপ বেশি থাকায় উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে।’
এদিকে, নিখোঁজ নোমানের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। তার স্ত্রী, ছেলে ও বাবা-মায়ের কান্নায় এক হ্নদয়বিদারক পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। তারা এ ঘটনায় জড়িত পুলিশ সদস্যদের উপযুক্ত বিচারের দাবি জানিয়েছেন।
ভোলার পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম চার পুলিশ সদস্যের বরখাস্তের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘বরখাস্ত হওয়া পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
উল্লেখ, বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে মেঘনা নদীর তীরে জুয়া খেলছিলেন নোমানসহ কয়েকজন যুবক। ওই সময় দৌলতখান থানার এসআই স্বরুপ কান্তি পালের নেতৃত্বে পুলিশ কনস্টেবল রাসেল ও সজীব তাদের ধাওয়া করে। এসময় কয়েকজন জুয়াড়ি নদীতে ঝাঁপ দেন। পরে পুলিশ সদস্যরা চলে গেলে সবাই নদী থেকে উঠে এলেও নোমান নিখোঁজ হন।
এনএফ৭১/আরআর/২০২২
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।