বঙ্গোপসাগরে নিখোঁজ ৯ জেলের মধ্যে ৪ জনকে জীবিত উদ্ধার

নিশি রহমান | প্রকাশিত: ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩, ০৪:২১

ছবি: সংগৃহীত

বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে যাওয়ার পথে দক্ষিণ-পূর্ব দিকে পায়রা বন্দর থেকে পশ্চিমে বয়া এলাকায় দস্যুদের হামলার সময় প্রাণে বাঁচতে সাগরে ঝাঁপিয়ে পড়া ৯ জেলের মধ্যে ৪ জনকে জীবিত উদ্ধার করেছে তালতলীর একটি ট্রলার।

গতকাল রাত ৮টার দিকে সাগরের বড় বয়া নামক স্থানে এফবি মা মরিয়ম নামের একটি মাছ ধরার ট্রলারের জেলেরা সমুদ্র থেকে তাদের উদ্ধার করে। পরে পাথরঘাটা কোস্টগার্ডের কাছে তাদের হস্তান্তর করে জেলেরা।

আরও পড়ুন>>> আগুন থেকে বাঁচতে ১২ তলা থেকে লাফ দিয়েছিলেন মোহাম্মদ রাজু

আজ বেলা ১১টার দিকে জেলেদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য পাথরঘাটা স্বাস্থ্য ক্লিনিকে নিয়ে যায় কোস্টগার্ড। উদ্ধার হওয়া জেলেরা হচ্ছে- শফিকুল ইসলাম (৪৭),  মো. ইয়াছিন জোমাদ্দার (৪০), আ. হাই (৩৭) ও জামাল হোসেন (৪০)।

জেলেদের মধ্যে ইয়াছিন জোমাদ্দার জানান, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি রাত ২টার দিকে জলদস্যুরা ৯ জেলেকে মারধর করে সাগরে নিক্ষেপ করে। এরপর তারা জালের ফ্লোট ধরে ভাসতে থাকেন। এই ৯ জনের মধ্যে যারা জলদস্যুদের মারধরে বেশি আহত হয়েছিলেন তারা ফ্লোট ধরে রাখতে পারেনি। তারা সাগরে ভেসে গিয়েছেন। ওই জেলেরা বেচে আছে কি না তাও তারা জানেন না।

ভোলা দক্ষিণ জোনের স্টাফ অফিসার অপারেশন লেফটেনেন্ট হাসান মেহেদী জানান, সাগরে নিক্ষিপ্ত জেলেদের উদ্ধারে কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের ৪টি স্টেশনের সদস্যরা উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে। পরে আজ সকাল ৯টার সময় ৪ জেলেকে তারা সাগর থেকে উদ্ধার করে। জেলেদেরকে তাদের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

গত শনিবার গভীর রাতে বরগুনার পাথরঘাটা থেকে সাগরে মাছ ধরতে যাওয়ার পথে এফবি ভাই ভাই নামের একটি ট্রলার বঙ্গোপসাগরের সোনারচর এলাকায় ডাকাতের কবলে পড়ে। এ সময় জলদস্যুরা ডাকাতির পর ৯ জেলেকে মারধর করে সাগরে ফেলে দেয়। এখন পর্যন্ত কাইউম জোমাদ্দার (৩৫), আবুল কালাম (৫৮), খাইরুল ইসলাম (৪০), আবদুল আলীম (৫৫) এবং ফরিদ (৩৮) নামের ৫ জেলে নিখোঁজ রয়েছেন।




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top