অবশেষে ইন্দোনেশিয়ান নিকির সঙ্গে ইমরানের বিয়ে সম্পন্ন
রাজিউর রাহমান | প্রকাশিত: ৪ মার্চ ২০২৩, ০৩:২০
অবশেষে পারিবারিকভাবেই সম্পন্ন হলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল পটুয়াখালীর ছেলে ইমরানের সঙ্গে ইন্দোনেশিয়ান তরুণীর নিকির বিয়ে। দীর্ঘ পাঁচ বছর অপেক্ষা শেষে এক ডলার দেনমোহরে বৃহস্পতিবার তাদের বিয়ের কার্যক্রম পারিবারিকভাবে সম্পন্ন হয়।
আইনজীবী আল-আমিন হাওলাদার জানান, বুধবার রাত ৮টার দিকে স্থানীয় মসজিদের ইমাম মাওলানা শহিদুল ইসলাম তাদের বিয়ে পড়ান। এরপর বাংলাদেশের নিয়ম অনুসারে তাদের গায়ে হলুদ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে বিবাহোত্তর সংবর্ধনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
ইমরান হোসেন পটুয়াখালী জেলার বাউফল উপজেলার দাসপাড়া ইউনিয়নের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে এবং তার স্ত্রী নিকি উল ফিয়া ইন্দোনেশিয়ার সুরাবায়া প্রদেশের জেম্বার এলাকার বাসিন্দা ইউলিয়ানতোর এবং শ্রীআনির সন্তান।
২০১৬ সালে ফেসবুকে ইন্দোনেশিয়ার মেয়ে নিকির সঙ্গে ইমরানের পরিচয় হয়। পরিচয়ের পর বন্ধুত্ব, একপর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক হয়। পরে তারা বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেন। পরিবারের কোনো আপত্তি না থাকায় ২০১৭ সালের ১ ডিসেম্বর বাংলাদেশে আসেন নিকি।
ইমরানের বয়স তখন ২১ বছর না হওয়ায় তারা বিয়ে করতে পারেনি, এতে দেশে ফিরে যান নিকি। বর্তমানে ইমরান উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি সম্পন্ন করে ঢাকার একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন।
ইমরান জানান, গত সোমবার রাতে ইন্দোনেশিয়া থেকে বিমানে নিকি বাংলাদেশে আসে। মঙ্গলবার লঞ্চে ঢাকা থেকে পটুয়াখালীর উদ্দেশ্যে রওনা হয়ে বুধবার সকালে পটুয়াখালী আসেন। ওইদিনই পটুয়াখালীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে এফিডেভিট করে নিকিকে বিয়ের জন্য বাড়িতে নিয়ে যান।
ইন্দোনেশিয়ান ভাষায় নিকি উল ফিয়া বলেন, বাংলাদেশ আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। আজকের দিনের জন্য আমি খুব খুশি এবং আমি সারা জীবন বাংলাদেশে থেকে যাব।
ইমরানের মামা কবির হোসেন জানান, অনেক বছর আগ থেকে ইমরানের সঙ্গে বিদেশী মেয়ে নিকির মোবাইল ফোনের মাধ্যমে পরিচয় হয়। এরপর থেকেই পরিবারের সম্মতিতে তাদের বিয়ের আয়োজন করা হয়। তাদের দুজনের ইচ্ছা অনুযায়ীই এই দেনমোহর ধার্য করা হয়েছে।
ইমরানের মা বিথী আকতার বলেন, যেহেতু সে অন্য একটি দেশের মেয়ে আমাদের বাংলাদেশে এসেছে। আমার কাছে ভালো লাগছে। আমরা ছোট পরিসরে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বিয়ের আয়োজন করেছি।
ইমরানের বাবা দেলোয়ার হোসেন জানান, নিকির মায়ের সঙ্গে কথা বলে এবং তাদের সম্মতি নিয়েই এ বিয়ে সম্পন্ন হয়েছে। ওরা দুজনে সুখে থাকুক, ভালো থাকুক এটাই চাই।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।