চাকরী বাঁচাতে অপকৌশলের আশ্রয়ে বরখাস্তকৃত সেই ইলিয়াস
Staff Reporter | প্রকাশিত: ২২ মে ২০২৩, ১৮:৫০
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সহকারী অধ্যাপক উম্মে সালমা লুনার সাথে অসদাচরণ ও হুমকি দেওয়ায় বরখাস্তকৃত কর্মচারী জে এম ইলিয়াসের (ইলিয়াস জোয়ার্দার) বিরুদ্ধে এবার চাকরী বাঁচাতে অপকৌশলের আশ্রয় নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সহকারী অধ্যাপক উম্মে সালমা লুনার লিখিত অভিযোগের পরেই ইলিয়াসকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেনকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
শিক্ষিকা লুনার অভিযোগ থেকে জানা যায়, বাসার ইন্টারনেট সংযোগ ঠিক করতে এসে টেকনিশিয়ান ইলিয়াস শিক্ষিকাকে বলেন, ‘আচ্ছা ম্যাডাম, একজন শিক্ষকের ইন্টারনেট কানেকশন এত কিসের প্রয়োজন? অন্য শিক্ষকদের মতো আপনিও ঊনিশ-বিশ দেখেন নাকি?’
এদিকে বরখাস্ত হওয়ার পর চাকরী বাঁচতে নিজের উপর মিথ্যা হামলার অভিযোগ তুলে প্রাণনাশের হুমকির এনে থানায় জিডি করেছেন ইলিয়াস।
এ বিষয়ে উম্মে সালমা লুনা বলেন, তিনি আমার সাথে খুবই বাজে ব্যবহার করেছেন এবং হুমকি দিয়েছেন। এখন মিথ্যা অভিযোগ তুলে নানা রকম বিভ্রান্তমূলক কথাবার্তা ছড়াচ্ছেন। আমি আইন অনুযায়ী তার বিচার চাই।
অন্যদিকে অভিযুক্ত ইলিয়াস বলেন, আমি যদি কোনো ভুল করে থাকি তাহলে প্রশাসন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিবে।
ভুক্তভোগী শিক্ষিকার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্ত কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে বলে জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, এ বিষয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির রিপোর্ট অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রাণ নাশের হুমকিতে টেকনিশিয়ান ইলিয়াসের থানায় জিডি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি আরো বলেন, ইলিয়াস অপরাধী কিনা সেটা তদন্ত সাপেক্ষে জানা যাবে। তবে অজ্ঞাত অস্ত্রধারী কর্তৃক হামলাচেষ্টার শিকারের অভিযোগে ইলিয়াস যে জিডি করেছে সেটা ব্যাক্তিগতভাবে। সে বিষয়ে আমি কিছু বলতে চাচ্ছি না।
উল্লেখ্য, গত সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগপত্রে ভুক্তভোগী শিক্ষিকা দাবি করেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক ভবনে উম্মে সালমা লুনার বাসায় ইন্টারনেট সংযোগের সমস্যা হওয়ায় আইসিটি সেলের নেটওয়ার্ক টেকনিশিয়ান ইলিয়াসকে ফোন দেন তিনি। প্রথম দিনে তার ফোন রিসিভ না করলেও শনিবার লুনার বাসার রাউটারটি রি-সেটাপ করে দেন ইলিয়াস। পরে লুনা তার রাউটারের পাসওয়ার্ড জানার জন্য ইলিয়াসকে কল দিলে তার সাথে দুর্ব্যবহার করে ইলিয়াস বলেন- একজন শিক্ষকের কী কারণে ইন্টারনেট লাগে?। এসময় ইলিয়াস স্থানীয় প্রভাব দেখিয়ে তাকে হুমকিও দেন বলে জানান ভুক্তভোগী শিক্ষিকা লুনা।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।