ফেসবুকে পরিচয় থেকে প্রেম, ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা প্রেমিকা

শাকিল খান | প্রকাশিত: ২২ মে ২০২৩, ২০:৫৮

ছবি: সংগৃহীত

সিলেটের ওসমানীনগরে প্রেমিকের ধর্ষণে দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক তরুণী। ওই তরুণীর সঙ্গে ফেসবুকে পরিচয় থেকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে বিয়ের কথা বলে ওই তরুণীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেন প্রেমিক জয়নাল।

আজ সোমবার (২২ মে) ওসমানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাছুদুল আমিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। রবিবার (২১ মে) আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

গ্রেফতারকৃত জয়নাল উপজেলার তাজপুর ইউপির খাশিপাড়া গ্রামের সিরাজ মিয়ার ছেলে।

জানা গেছে, প্রায় ৯ মাস আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে জয়নালের সঙ্গে ভুক্তভোগী তরুণীর প্রথম পরিচয় হয়। পরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। জয়নাল প্রায় সময় ভুক্তভোগী তরুণীর বাসায় আসা-যাওয়া করতেন। একপর্যায়ে জয়নাল বিয়ের প্রস্তাব দিলে ভুক্তভোগী তরুণী রাজি হয়ে যান। পরে ভুক্তভোগীকে নিয়ে সিলেট শহরে একটি আবাসিক হোটেলে ওঠেন। এ সময় জয়নাল জানান, ‘একরাত ওখানে থাকার পরের দিন তারা কোর্টে গিয়ে বিয়ে করবেন।’

হোটেলে থাকা অবস্থায় ৪ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাতে জয়নাল তার প্রেমিকাকে বিয়ে করবে বলে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।

এদিকে পরের দিন জয়নাল কাজী অফিসে যাওয়ার বিষয়ে টালবাহানা শুরু করলে ভুক্তভোগী তরুণী বাধ্য হয়ে নিজের বাড়িতে ফিরে আসেন। পরবর্তী সময়ে জয়নাল প্রায়ই মেয়েটির বাসায় আসা-যাওয়া করতেন এবং বিয়ের প্রলোভণে ধর্ষণ করতেন। ইতোমধ্যে ভুক্তভোগী তরুণী তার শারীরিক পরিবর্তন অনুভব করলে চিকিৎসককে দেখান। এ সময় চিকিৎসক জানান, অন্তঃসত্ত্বা তিনি। পরে খবরটি জয়নালকে জানালে গর্ভপাত করতে চাপ দেন। অন্যথায় বিয়ে করবেন না।

নিরুপায় হয়ে ওই তরুণী গত ১৯ মে দুপুরে জয়নালের খাশিপাড়া গ্রামের বাড়িতে গিয়ে তার পিতা সিরাজ মিয়াকে বিষয়টি অবগত করেন ওই তরুণী। জয়নালের পিতা তরুণীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে তার বাড়ি হতে চলে যাওয়ার জন্য বলেন। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী তরুণীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওসমানীনগর থানা পুলিশ অভিযোগটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা নথিভুক্ত করে।

ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাছুদুল আমিন জানান, ভুক্তভোগী তরুণী শনিবার (২০ মে) এ ঘটনায় মামলা দায়ের করেছেন। পরে অভিযুক্ত প্রেমিক জয়নালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, ভুক্তভোগী তরুণীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার (ওসিসিতে) ভর্তি করা হয়েছে। প্রেমিক জয়নালকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

 

 




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top