নির্বাচন থেকে সরাতে হত্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ
শাকিল খান | প্রকাশিত: ৩০ মে ২০২৩, ১৯:০৩
কুমিল্লা তিতাস উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান এবং জেলা মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডারের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহিনুল ইসলাম সোহেল সিকদারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আগামী নির্বাচনে তিনি যেন অংশগ্রহণ করতে না পারেন, সে জন্য ষড়যন্ত্র করে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে বলে দাবি করছেন তিতাস উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
সাবেক উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান শাহিনুল ইসলাম সোহেলের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে মানব্বন্ধন করেছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। সোমবার (২৯ মে) সকাল ৯টার দিকে রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক বিশাল মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এতে সভাপতিত্ব করেন তিতাস উপজেলার সাবেক মুক্তিযোদ্ধ কমান্ড কাউন্সিল আক্তার হোসেন নিজাম শিকদার। তিনি বলেন, শাহিনুল ইসলাম সোহেলকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে কারাগারে রাখা হয়েছে। কে বা কারা জামালকে হত্যা করেছে তার দায় চাপিয়েছে শাহিনুলের ওপর। তার মুক্তির দাবিতে আজকে আমাদের এই মানববন্ধন।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, তিতাসে যুবলীগ নেতা জামাল হত্যায় রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও ষড়যন্ত্রমূলকভাবে শাহিনুল ইসলাম সোহেল শিকদারকে জড়িয়ে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়। ওই মামলায় বর্তমানে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও কুমিল্লা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ডের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শাহিনুল ইসলাম কারাগারে আছেন। উক্ত মামলা থেকে অব্যহতি দিয়ে নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান রণাঙ্গণের বীর মুক্তিযোদ্ধারা।
মানববন্ধনে তিতাস উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা পরিষদ এর মুক্তিযোদ্ধাগণ অংশ নেয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন তিতাস উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মো. আক্তার হোসেন নিজাম শিকদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সাইদুর রহমান সাদির, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রফিকুল ইসলাম, লালবাগ থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নূরে আলম জিকু ও রমনা থানা ছাত্রলীগ নেতা মো. দিপু প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত ৩০ এপ্রিল রাতে তিতাস উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. জামাল হোসেনকে বোরকা পরে ৩ সন্ত্রাসী গুলি করে হত্যা করে। ওই ঘটনায় সোহেল শিকদারকে ৪ নম্বর আসামী করে ৯জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৭/৮ জনের নামে নিহতের স্ত্রী পপি আক্তার বাদী হয়ে মামলা রুজু করে। ওই মামলায় সোহেল শিকদারসহ জড়িত ১০জনকে আটক করেছে আইন শৃংখলা বাহিনী এবং বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছে তারা। তবে হত্যায় এখনো পর্যন্ত সোহেল শিকদারের জড়িতের বিষয়ে কোন স্বীকার করেনি।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।