ভেঙে গেল সেই ভাইরাল হওয়া দাদি-নাতির সংসার
শাকিল খান | প্রকাশিত: ৭ জুন ২০২৩, ১৯:২৩
ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় ৭ লাখ টাকা দেনমোহরে দাদিকে বিয়ে করেছেন নাতি। কিস্তু বিয়ের ১৫ দিনের মাথায় ভেঙে গেছে সংসার। বুধবার (৭ জুন) হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যানবাজার এলাকার বড় মসজিদের ইমাম আলেম মো. মুছা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মিরাজের বাবা মো. জসিম মাঝি জানান, মঙ্গলবার গ্রামে আমরা বিয়ের বিষয় নিয়ে বসি। পরে উভয়ের সম্মতিতে বিচ্ছেদ হয়েছে।
ইমাম আলেম মো. মুছা জানান, দাদি-নাতির বিয়ে শরিয়তে জায়েজ নেই। মঙ্গলবার স্থানীয় আলেম, ইউপি চেয়ারম্যান ও স্থানীয়রা মিলে তাদের নিয়ে বসেন। শরিয়তের বিষয়টি বুঝিয়ে বলার পর তারা নিজেদের ভুল বুঝতে পারেন। পরে সবার সামনে সংসার বিচ্ছেদ করে দুজনই নিজেদের আলাদা বাড়িতে চলে যান।
উল্লেখ, ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার শশীভূষণ থানার হাজারীগঞ্জ ইউনিয়নে মিরাজ হোসেনের বাড়ি। সে পেশায় একজন জেলে। তাঁর দাদা শাহে আলম তিনটি বিয়ে করেছেন। শামসুন্নাহার তাঁর তৃতীয় স্ত্রী ছিলেন। মিরাজ তাঁর প্রথম স্ত্রীর নাতি। দেড়বছর আগে মিরাজের দাদা মারা যায়। এরপর ভালোবেসে দাদার তৃতীয় স্ত্রী শামসুন্নাহারকে মিরাজ বিয়ে করেন। তাঁর দাদার সংসারে শামসুননাহারের দুইটি সন্তান রয়েছে। একটি মেয়ে অন্যটি ছেলে। মেয়ের বয়স ১৭ বছর এবং ছেলের বয়স ১৩ বছর। ওই দুই সন্তান এখন মিরাজের সংসারেই থাকে।
বিষয়: ভোলা বিচ্ছেদ দাদি-নাতি News newsflash71
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।