সুন্দরবনে বাঘ দেখা যায় কটকায়!
নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১৩ জানুয়ারী ২০২১, ১৮:২২
সুন্দরবনে বাঘ দেখার অন্যতম স্থান কটকা অভয়ারণ্য। তাই বাঘের খোঁজে বঙ্গোপসাগরের তীরে এ অভয়ারণ্যে ছুটে আসেন দেশি-বিদেশি ভ্রমনকারী। সাগর পাড়ে জনমানবহীন কটকা অভয়ারণ্যে যেতে হয় নৌ-পথে সুন্দরবনের সেলা ও বেতমোর গাঙ দিয়ে।
কটকায় পৌঁছানোর আগেই চোখে পড়বে সুন্দরবনের নানা প্রাণী। গেওয়া গাছের ডালে বসে মাছ শিকারের অপেক্ষায় মাছরাঙা এবং আরও কয়েক ধরণের পাখী। নদীর তীরে লবনাক্ত কাদামাটিতে চরে বেড়ায় বক, মদনটাক। মাঝে মাঝে জঙ্গল থেকে বেরিয়ে আসে বন্য শূকর।
সাগর পাড়ে কটকা বন বিভাগের অফিস অতিক্রম করতেই চোখে পড়ে বানর। খাবারের আশায় মানুষের কাছে চলে আসে বানরগুলো। মনে হবে পর্যটকদের সাথে বানরের বন্ধুত্ব অনেক আগ থেকেই।
একটু সামনে যেতেই দেখা মেলে হরিণের। একটি বা দু’টি নয়। বড় এক হরিণের পাল চরে বেড়ায় এখানে। পছন্দের খাবার কেওড়া গাছের পাতা পেড়ে দিলেই দলে দলে চলে আসে হরিণ। এ এক রোমঞ্চকর অনুভূতি। বনের হরিণ হাতের মুঠোয়!
সুন্দরবনে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের প্রধান খাবার হরিণ। হরিণ যেখানে বাঘও সেখানে। তাই কটকা অভয়ারণ্যে বাঘের আনাগোনাও বেশি। শুনলেই গা ছমছম করে ওঠে! বাঘের দেখা পেতে দল বেঁধে যেতে হয় জঙ্গলের একটু ভেতরে। সবার মাঝেই ভয়, এই বুঝি বাঘ এলো! চলার পথে বাঘের পায়ের ছাপও দেখা যায় অনেক। এবার নিশ্চিত। বাঘ আছে আশে পাশে!
বাঘ ক্ষুধার্থ না হলে আক্রমণ করে না। মানুষের ভীড়-কোলাহল থাকলে, সেদিকে পা বাড়াতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে না। তাই কটকায় বাঘের দেখা পেতে হলে বন বিভাগের সহায়তায় দীর্ঘ সময় লুকিয়ে অপেক্ষা করতে হয় জঙ্গলের ভেতর। যা সাধারণ ভ্রমণকারীদের পক্ষে অসম্ভব। কারণ, নিরাপত্ত্বা বিবেচনায় সন্ধ্যার নামার আগেই ভ্রমনকারীদের নৌযানে ফিরিয়ে নিয়ে যান ট্যুর গাইড।
এনএফ৭১/জুআসা/২০২১
বিষয়: Sundarban Mangrove Forest Khulna World Largest Mangrove সুন্দরবন ম্যানগ্রোভ ম্যানগ্রোভ বন বনভূমি খুলনা পৃথিবী বিখ্যাত ম্যানগ্রোভ বনভূমি
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।