শিশু আযানকে হত্যা করে ডোবায় পুঁতে রাখা হয়েছিলো
শাকিল খান | প্রকাশিত: ৩ অক্টোবর ২০২৩, ১৮:২৯
মুন্সীগঞ্জের মিরকাদিমে বসত ঘর থেকে চুরি হওয়ার পাঁচ দিন পর দুই মাসের শিশু আযানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
গত সোমবার (২ অক্টোবর) ভোর ৬ টার দিকে প্রতিবেশি জনৈক ফারুকের বাড়ির পেছনে ডোবায় পুঁতে রাখা অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মুন্সীগঞ্জ মিরকাদিম পৌরসভার গোপালনগর এলাকায় মোঃ শরীফ মিয়ার ছেলে শিশু আযান। গত বৃহস্পতিবার সকাল ৭ টার দিকে দুই মাসের শিশু আজানকে ঘরে রেখে বাথরুমে যান তার মা শ্রাবণী বেগম। সেই সুযোগে কে বা কারা ঘর থেকে শিশুটিকে চুরি করে নিয়ে যায়। পরে অনেক খোঁজখুঁজি করেও সন্ধান না পেয়ে শিশু আজানের মামা মোক্তার হোসেন মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
আযানের মামা মোঃ মোক্তার জানান, সোমবার সকাল ৬টার দিকে ডোবার মাটিতে পুঁতে রাখা অবস্থায় শিশুটির কিছু অংশ দেখতে পায় স্থানীয়রা। পরে সেখান থেকে শিশুটির মরদেহ টেনে তুলেন তারা এবং পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
পাশের বাড়ির রমিজি বেগম এ ঘটনায় জড়িত থাকতে পারে বলে শিশু আযানের স্বজনরা অভিযোগ করে। রমিজি বেগম ও তার পরিবার সকাল থেকে ঘরে তালা দিয়ে পলাতক রয়েছেন।
মুন্সীগঞ্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) খায়রুল হাসান এবিষয়ে জানান, গত ২৮ সেপ্টেম্বর শিশুটি নিখোঁজ হলে থানায় একটি চুরি মামলা করা হয়। বাড়ির পাশে ডোবা থেকে শিশু আযানের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনার জড়িত সন্দেহে রমিজি বেগম নামের এক নারীকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। যেহেতু শিশুটির লাশ ডোবা থেকে পাওয়া গিয়েছে প্রাথমিক ধারনা করা হচ্ছে এটি হত্যা।
-সুজন হাসান শর্ত
বিষয়: মুন্সীগঞ্জ মরদেহ উদ্ধার newsflash71
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।