বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়ির সামনে প্রেমিকার অনশন

চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে | প্রকাশিত: ২১ জানুয়ারী ২০২১, ২২:১৬

প্রেমিকের বাড়ির সামনে প্রেমিকার অনশন

বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করেও বিয়ে না করার অভিযোগ এনে প্রেমিকের বাড়ির সামনে সারারাত বসে থেকেছেন প্রেমিকা। রাত পেরিয়ে সকাল, এমনকি দুপুর হয়ে গেলেও বসে থাকে ১০ম শ্রেণীর ছাত্রী আমিনা খাতুন (১৫)। এমনকি রাতে ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে গ্রাম পুলিশ পাহারা দেয়।

মঙ্গলবার (১৯ জানুয়ারী) বিকেল ৪টায় প্রেমিকের বাড়িতে গেলে ছেলের বাড়ির লোকজন মারধর করে তাড়িয়ে দেয় আমিনাকে। সর্বশেষ বুধবার দুপুর পর্যন্ত একই জায়গায় বসে থাকার খবর পাওয়া গেছে। ঘটনাটি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার বিনোদপুর ইউনিয়নের বড় টাপ্পু গ্রামের। ইউপি সদস্য মো. তুফানী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বড়টাপ্পু গ্রামের মতিউর রহমানের ছেলে অন্তরের (১৮) সাথে শাহবাজপুর ইউনিয়নের আজমতপুর রিফুজিপাড়া গ্রামের মনিরুল ইসলামের মেয়ে আমিনার গত ৫-৬ মাস ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলছিলো। কিন্তু প্রেমিক অন্তর বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানালে মঙ্গলবার বিকেলে বাড়িতে এসে বিয়ের দাবি করে আমিনা। অন্তরের পরিবারের লোকজন তাড়িয়ে দিলে বাড়ির সামনের দোকানেই সারারাত বসে থাকে আমিনা।

দশম শ্রেণীর ছাত্রী আমিনা জানায়, আমার সাথে প্রায় ৬ মাস যাবত বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করে আসছে। এখন বলছে বিয়ে করবে না। তাই বাড়ির সামনে সারারাত বসে আছি। স্থানীয় একটি এনজিও'তে কাজ করা আমিনা আরো বলে, অন্তরের সাথে প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে আমার মোবাইল ফোনে অনেক তথ্য প্রমাণ ছিল। কিন্তু তারা (অন্তর ও তার লোকজন) জোর করে ফোন কেড়ে নিয়ে ডিলিট করে দিয়েছে। এমনকি তাদের বাড়িতে ঢুকতে গেলে অন্তর ও তার পরিবারের সবাই আমাকে মারধর করে বের করে দিয়েছে।

অন্তরের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। এবিষয়ে অন্তরের বাবা মতিউর রহমান বলেন, আমার ছেলের সাথে তার কোনরকম সম্পর্ক ছিলনা। আমার ছেলের সাথে তার শারীরিক সম্পর্কের প্রমাণ দিতে পারলে বিয়ে দিবো।

বিনোদপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড সদস্য মো. তুফানী মুঠোফোনে জানায়, বাড়ির বাইরে মেয়েটির অপেক্ষা করার বিষয়টি জানতে পেরে সেখানে একজন গ্রাম পুলিশকে পাহারায় রাখা হয়েছে। রাতেই দুই পরিবারের সাথে চেষ্টা করেও এর সমাধান করা যায়নি। কারন মেয়ের পরিবার বিয়ে দিতে চাই, অন্যদিকে ছেলের পরিবার তা মানতে নারাজ।

মুঠোফোনে শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ হোসেন বলেন, বিকেলের দিকে মেয়েটি থানায় এসে অভিযোগ করেছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এনএফ৭১/জেএস/২০২১




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top