সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

জীবিত থেকেও মৃত প্রতিবন্ধী রোস্তম আলী

রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩:১৬

ছবি: সংগৃহীত

প্রতিবন্ধী মীর রুস্তম আলী (৮১)। ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার আশফোরদী গ্রামের বাসিন্দা এই বৃদ্ধ জীবিত থেকেও জাতীয় পরিচয়পত্রে (এনআইডি) মৃত। ২০১৯ সালে জাতীয় পরিচয়পত্রে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে তাকে। ফলে জীবিত থেকেও জাতীয় পরিচয়পত্রে রুস্তম আলী মীর এখন মৃত। 

জীবিত এই ব্যক্তিকে মৃত ঘোষণা করার পর, তার প্রতিবন্ধী ভাতা বাতিল করেছে সমাজ সেবা অফিস। ফলে চার বছর ধরে ভাতা বঞ্চিত শারীরিক প্রতিবন্ধী দরিদ্র অসহায় রুস্তম আলী মীর। এই বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ভুক্তভুগী রুস্তম আলীর মেয়ে রোখসানা।

রুস্তম আলী মীরের অভিযোগ, ২০১৯ সালে ভোটার তালিকা হাল-নাগাদ করার সময়, প্রতিবন্ধী ভাতা বাতিল করে অন্য কাউকে ভাতা পাইয়ে দিতেই, চরযশোরদী ইউনিয়নের মুকন্দপুট্টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক সালাউদ্দিন মুন্সী আমার প্রতিবেশী কুদ্দুস আলী মীরের যোগসাজসে আমাকে জাতীয় পরিচয়পত্রে মৃত ঘোষণা করেছে।

আমি জীবিত থাকতেই আমাকে মৃত ঘোষণা করায়, আমার প্রতিবন্ধী ভাতা বাতিল করে দিয়েছে সমাজ সেবা অফিস। আমি কোনো নির্বাচনে ভোট দিতে পারছিনা। মিথ্যা তথ্য দিয়ে আমাকে মৃত ঘোষণা করায়, আমি আর্থিক, সামাজিক ও মানসিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ। আমার ক্ষতি যারা করেছে, আমি তাদের বিচার চাই এবং আমার ক্ষতিপূরণ চাই।

অভিযুক্ত স্কুল শিক্ষক সালাউদ্দিন মুন্সি বলেন, রুস্তম আলী মীরের প্রতিবেশী কুদ্দুস আলীর মীরের তথ্যের ভিত্তিতে রুস্তম আলী মীরকে মৃত ঘোষণা করে নগরকান্দা উপজেলা নির্বাচন অফিসে ফরম জমা দিয়েছি। এখানে আমার কোনো দোষ নেই। আমি সঠিক নিয়ম মেনেই কাজ করেছি।

অপর অভিযুক্ত মীর কুদ্দুস আলী বলেন, স্কুল শিক্ষক সালাউদ্দিন মুন্সিকে আমি চিনিই না। শিক্ষক সালাউদ্দিন মুন্সি আমার কাছে তথ্য নিতে আসেনি। রুস্তম আলী মীরের সম্পর্কে আমি এ ধরনের কোনো তথ্য তাকে দেইনি।

জীবিত ব্যক্তিকে মৃত ঘোষণা করার ঘটনায় উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আবু তালেব বলেন, মাঠ পর্যায়ের তথ্য সংগ্রহকারীদের গাফিলতির কারণেই এমনটি ঘটেছে। নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাফী বিন কবির বলেন, এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের ভিত্তিতে বিষযটি খতিয়ে দেখা সহ দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ইতিমধ্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

 




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top