মাদারীপুরে দুপক্ষের সংঘর্ষে ইউপি সদস্যসহ নিহত ৩
Nasir Uddin | প্রকাশিত: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৫৪
মাদারীপুরের কালকিনিতে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে এক ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এই সংঘর্ষে গুরুতর আহত তার ছেলেসহ আরো দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার বাঁশগাড়ি ইউনিয়নে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় প্রায় ১০০ ককটেল ও হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটনানো হয়।
এ ঘটনায় নিহতরা হলেন- কালকিনি উপজেলার বাঁশগাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আক্তার শিকদার, তার ছেলে মারুফ শিকদার ও আক্তারের সমর্থক সিরাজ চৌকিদার। সিরাজ চৌকিদার একই এলাকার রশিদ চৌকিদারের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কালকিনির বাঁশগাড়ি ইউপি সদস্য ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি আক্তারের সাথে মোস্তাফিজুর রহমান সুমনের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলছিল। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের সরকারের পতনের পর এলাকা ছাড়েন আক্তার। অবস্থা বুঝে চার মাসেরও বেশি সময় পর শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে এলাকায় ফিরে আসে।
আক্তার এলাকায় ফিরে সকালে দুই শতাধিক লোক নিয়ে প্রতিপক্ষের লোকজনের বাড়িঘরে হামলা চালান। এতে ফকির বংশের লোকজন একত্রিত হয়ে পাল্টা হামলা করলে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় আক্তার শিকদারকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। সংঘর্ষে আহত হন আক্তার শিকদারের ছেলে মারুফসহ অন্তত ১৫ জন। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারুফ ও সিরাজের মৃত্যু হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) হুমায়ুন কবীর।
বাঁশগাড়ী ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আক্তার মেম্বারের (ইউপি সদস্য) নামে ৩৫টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে পাঁচটি হত্যা মামলা। সরকার পতনের পর এলাকা থেকে চলে যান তিনি। শুক্রবার আবার নতুন করে দলবল নিয়ে এলাকায় প্রবেশ করার চেষ্টা করেন। মধ্যেরচর এলাকার লোকজন তাদের প্রতিরোধ করতে গেলে সংঘর্ষ বাঁধে। বোমা বিস্ফোরণে আক্তার, তার ছেলের ও এক সমর্থকের মৃত্যুর সংবাদ পেয়েছি। এ ঘটনায় আরও অনেকেই আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় জড়িতদের বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানাই।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মাদারীপুর পুলিশ সুপার (এসপি) মো. সাইফুজ্জামান বলেন, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছেন।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।