আমতলীতে বাসের চাকায় প্রাণ গেল এক অন্তঃসত্ত্বা নারীর
বরগুনা থেকে | প্রকাশিত: ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২১, ০৪:২৪
বরগুনার জেলা আমতলী উপজেলায় মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে রেহানা বেগম (৩৫) নামে এক নারী নিহত এবং আহত হয়েছে শিশুসহ ৩ জন।
জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুর ১১টার দিকে পটুয়াখালী-কুয়াকাটা আঞ্চলিক মহাসড়কের শাখারিয়া বাসস্ট্যান্ডে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত রেহেনা বেগম আমতলী উপজেলার চাঁওড়া ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডে কালিবাড়ি গ্রামে রাজ মিস্ত্রি আফজাল হোসেন বেপারীর স্ত্রী ও তার বাবার বাড়ি ভোলা জেলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায়।
থানা সূত্রে জানা গেছে চাচি শাশুড়ি পিয়ারা বেগমের (৬০) সঙ্গে নিহত রেহানা বেগম ও তার শিশুকন্যা রিয়ামনি (৪) ও খাদিজা আক্তার(৫) কে নিয়ে পটুয়াখালী মির্জাগঞ্জ উপজেলার বেড়াতে যাচ্ছিলেন। এই উদ্দেশ্যে তারা মেহেলি ক্লাসিক (ঢাকা মেট্রো ব -১১- ০১০৮) নামে বাসে ওঠেন।বাসটি পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়ক এর শাখারিয়া নামক স্থানে যাত্রী ওঠা নামার জন্য দাঁড়ানো ছিল। ঠিক এই সময় গলাচিপা থেকে ছেড়ে আসা নিশাত পরিবহন নামে একটি বাস সজোরে পিছন থেকে মেহেদী ক্লাসিক বাসকে ধাক্কা দেয়।
এতে সামনের ইঞ্জিন সিটের উপর বসে থাকা যাত্রী রেহেনা বেগম ও তার মেয়ে রিয়া মনি, চাচি শাশুড়ি পিয়ারা বেগম এবং নাতনি খাদিজা আক্তার বাস থেকে সড়কে পড়ে যায়। উক্ত বাসের পিছনের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই অন্তঃসত্ত্বা রেহেনা বেগম নিহত হন। পাশাপাশি আহত পিয়ারা বেগম, খাদিজা আক্তার ও রিয়া মনিকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করেন।এর মধ্যে নিহতের শিশু কন্যা রিয়া মনি গুরুতর অসুস্থ। তার মাথায় আঘাত ও আটটি সেলাই লেগেছে।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ শাহ আলম হাওলাদার আমাদেরকে বলেন লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। পাশাপাশি মেহেলি ক্লাসিক বাসটি আটক করে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। ঘটনার পরপরই চালক, হেল্পার ও কন্টাকটার পালিয়ে গেছেন এবং ধাক্কা দেওয়া নিশাত পরিবহন বাসটি দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। সেটি আটকেরও চেষ্টা চলছে।
এনএফ৭১/জেএস/২০২১
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।