সুবন্ধি নদীর উপর নির্মিত

বাঁধ ও কচুরিপানা অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন

বরগুনা থেকে | প্রকাশিত: ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২১, ১৬:২৬

বাঁধ ও কচুরিপানা অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন

বরগুনার আমতলী উপজেলার মৃত সুবন্ধি নদীর উপর নির্মিত বাঁধ ও কচুরিপানা অপসারণের দাবিতে মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) মানববন্ধন করেন আমতলী উপজেলার সাধারণ জনগণ।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও সুবন্ধি বাঁচাও আন্দোলনের আয়োজনে বিকাল তিনটায় আমতলী উপজেলা হলদিয়া ইউনিয়ন বাজারে এ মানববন্ধন ও সমাবেশ হয়। আব্দুল্লাহ আল মামুন (৩নং হলদিয়া ইউপি সদস্য) এর সভাপতিত্বে আমন্ত্রিত অতিথিরা বিভিন্ন দাবিতে বক্তব্য দিয়ে থাকেন।

বক্তারা বলেন চাওড়া খালের সুবন্ধি পয়েন্টে একটি অপরিকল্পিত বাঁধ ও ছোট স্লুইসগেটর কারণে-চাওড়া খাল ও এর নয়টি শাখা খালে কচুরিপানায় ভরে যায়। আগেই নদীর নব্যতা হারিয়ে খালে পরিণত হয়। এখন খাল থেকে মৃত খালে পরিণত হয়েছে। আমতলী,চাওড়া, হলদিয়া ইউনিয়ন এবং আমতলী পৌরসভা মিলিয়ে প্রায় ৮০ হাজার মানুষের জীবন-জীবিকা মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়েছে। বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা এনএসএস এর নির্বাহী পরিচালক অ্যাডভোকেট শাহাবুদ্দিন পান্না বলেন- কৃষি পণ্য পরিবহন এমনকি দৈনন্দিন কাজে খালের পানি ব্যবহার করতে পারছে না। গ্রীষ্মকালে কচুরিপানা পচেঁ মারাত্মক দুর্গন্ধে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে এবং মশার উপদ্রব কয়েকগুণ বেড়ে যায়।এতে দুই পাড়ের লোকজন মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়েছে।

এছাড়াও নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ভুক্তভোগীরা বলেছেন- গবাদি পশু মাঝেমধ্যে দড়ি ছুটে কচুরিপানা খেয়ে ফেলে কচুরিপানায় বদহজম হয়ে প্রায়ই এইসব পশু মারা যায়। আমাদের আর্থিকভাবে লোকসান হচ্ছে। সরেজমিন ঘুরে ঘুরে জানা গেছে তৎকালীন ২০০৮ সালে আমতলী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন তালুকদের উদ্যোগে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে কিছু সুবিধাভোগীদের জন্য এই অপরিকল্পিত বাঁধ নির্মাণ করা হয়।তখন থেকেই সচেতন নাগরিক ও ভুক্তভোগী চার ইউনিয়নের লোকজন এর বিরোধিতা করে আসছে।

বাঁধের পর থেকে সুবন্ধি খাল যেন মৃত খালে পরিণত হয়েছে।যেদিকে চোখ যায় শুধু কচুরিপানা আর কচুরিপানা। যেন কচুরিপানার অভয়ারণ্য। তাই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে গ্রাম বাসীদের দাবি অনতিবিলম্বে কচুরিপানা অপারেশন করিয়ে সাধারণ জীবন জীবিকায় ফিরে আসতে পারি।

সমাবেশের পূর্বে মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন এনএসএস এর নির্বাহী পরিচালক অ্যাডভোকেট শাহাবুদ্দিন পান্না, এডভোকেট আরিফুল হাসান (সদস্য বরগুনা জেলা পরিষদ) রেজাউল করিম(সভাপতি প্রেসক্লাব,আমতলী) খাইরুল বাশার বুলবুল (জেলা প্রতিনিধি, বাসস) জসিম শিকদার (সভাপতি সাংবাদিক ইউনিয়ন) এবং অত্র এলাকার সাধারণ জনগণ।

এনএফ৭১/জেএস/২০২১




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top