কেয়ারটেকার থেকে ভূয়া মালিক সেজে জমি আত্মসাৎ

লক্ষ্মীপুর থেকে | প্রকাশিত: ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১, ১৮:৪০

কেয়ারটেকার থেকে ভূয়া মালিক সেজে জমি আত্মসাৎ

ছিলেন জমির পাহারাদার, তারপর কৌশলে ভূয়া মালিক সেওে সে জমি হাতিয়ে আবার বিক্রিও করে দিয়েনে। এমন ঘটনা লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরবাদাম ইউনিয়নের চরসীতা গ্রামে। আর ভূক্তভোগী নিজেই একজন পুলিশ কর্মকর্তা। এমন ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

জানা গেছে, চরসীতা গ্রামের বাসিন্দা মিরাজ উদ্দিন রাশেদ গত আড়াই বছর আগে তার পৈত্রিক ১১.৫ শতাংশ সম্পত্তিতে মানবিক দৃষ্টিকোন থেকে আবদুর রহিম নামে এক নদীভাঙা ব্যক্তিকে থাকার সুযোগ করে দেয়, সেই সাথে ওই জমিগুলো দেখাশোনার দায়িত্ব দেন। কিন্তু আবদুর রহিম কৌশলে মিরাজের ফুফু রোকেয়া বেগমকে দাতা সাজিয়ে তার কাছ থেকে জমিগুলো কিনে নেন। যদিও ওই জমিতে রোকেয়ার কোন ওয়ারিশি সম্পত্তি ছিলো না। রহিম সেগুলো আবার সালেকজান নামে আরেক ব্যক্তির মাধ্যমে মো. মনির ও আলামিন নামের দুই ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে দেয়। ৪/৫ আগে ওই জমি পুরোপুরি দখলে নেয় মনির ও আলামিন।

পুলিশ কর্মকর্তা মিরাজ উদ্দিন রাশেদ জানান, তাদের সম্পত্তিতে মানবিক দৃষ্টিকোন থেকে নদীভাঙণের শিকার আবদুর রহমিকে থাকার জায়গা দিয়েছেন। কিন্তু কৌশলে তার ফুফুর কাছ থেকে জমিটির কিনে নেন রহিম। যদিও সেখানে তার ফুফুর কোন মালিকানা নেই। ওই জমি পুনরায় বিক্রি করে অনও আরও দুই জনের কাছে। বর্তমানে মো. মনির ও আলামিন নামে দুই সহোদও তাদের জমিগুলো দখল করে রেখেছে।

এ ব্যাপারে দখলদার পক্ষের মো. মনির হোসেন বলেন, আমরা দুই ভাই গত ২ মাস আগে সাড়ে ৮ লাখ টাকা মূল্য নির্ধারণ করে আবদুর রহিমের কাছ থেকে জমিগুলো ক্রয় করেছি। সেগুলো আমরা ভোগ দখলে আছি।

স্থানীয় লোকজন জানায়, পুলিশ কর্মকর্তা মিরাজ দয়াবসত রামগতির চর গজারিয়া এলাকার আবদুর রহিমকে জমিগুলো দেখাশোনার উদ্দেশ্যে থাকতে দিয়েছেন। সে জমি কৌশলে নিজেই দখল করেছেন। রক্ষক হয়ে ভক্ষকেরে কাজ করেছেন তিনি। তারা আরও জানান, আবদুর রহিম খারাপ প্রকৃতির লোক। তিনি নদীতে দস্যুতার সাথে জড়িত ছিলেন।

এনএফ৭১/জেএস/২০২১

 




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top