চুয়াডাঙ্গায় গৃহবধূর নিখোঁজের পর আখক্ষেতে মরদেহ উদ্ধার

চুয়াডাঙ্গা থেকে | প্রকাশিত: ২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২১, ২১:৪৮

চুয়াডাঙ্গায় গৃহবধূর নিখোঁজের পর আখক্ষেতে মরদেহ উদ্ধার

চুয়াডাঙ্গার জীবননগরের মোল্লাবাড়ী সড়কে গৃহবধূ নিখোঁজের ৩ দিন পর আখক্ষেতে পাওয়া গেছে রক্তাক্ত মরদেহ।স্থানীয় কৃষকরা মাঠে কাজ করার সময়ে দেখতে পান পড়ে আছেন এক নাড়ীর মরদেহ। মৃতদের পড়ে থাকতে দেখে খবর দেন পুলিশকে।

জীবননগর থানা পুলিশ জানতে পেরে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছালে লাশ উদ্ধার করেন থানা পুলিশ ।পুলিশ আজ গৃহবধূর মরদেহ চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে বলে জানা যায় ।গৃহবধূ মৃত্যুর ঘটনার তীর গৃহবধূর নিজ স্বামী ছালামের দিকে।রহস্য উদঘাটনের জন্য জেলা পুলিশ নেমেছেন মাঠে।

জানা গেছে,গতকাল বুধবার সন্ধ্যা ৭ টার দিকে উপজেলার উথলী- মোল্লাবাড়ী সড়কের কোমরপাড়ার মাঠে থেকে ঐ গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

এলাবাসীর অভিযোগে জানা যায় ,গত সোমবার স্বামী স্ত্রী' র উপর ক্ষিপ্ত হয়ে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে তাকে পার্শ্ববর্তী মাঠের দিকে নিয়ে যায়।গৃহবধূ তানজিনা খাতুন(২৬) উপজেলার শিংনগর মেহেরপাড়া গ্রামের আঃ ছালামের স্ত্রী।সে দীর্ঘদিন ধরে স্বামী আঃছালাম ও দু কন্যা সন্তান নিয়ে আকন্দবাড়িয়া আবাসন প্রকল্পে বসবাস করতো।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, জীবননগর উপজেলার শিংনগর গ্রামের গৃহকর্তা আঃ ছালাম ও তার স্ত্রী তানজিরা খাতুন দীর্ঘদিন ধরে তাদের দুই সন্তানদের নিয়ে আকন্দবাড়ীয়া আবাসনে বসবাস করছেন।গত সোমবার স্বামী স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া বিবাদ শুরু হয়।এরপর স্বামী স্ত্রী র উপর ক্ষিপ্ত হযে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে পার্শ্ববর্তী মাঠে নিয়ে যান।এ ঘটনার পর স্বামী স্ত্রী উভয়ই ৩ দিন বাড়ি থেকে নিখোঁজ রয়েছে। প্রতিবেশি সহ পারিবারিক আত্মীয় স্বজনেরা অনেক খোঁজাখুজি করার পরও না পাওয়ার পর পুলিশে জানান।গতকাল বুধবার বিকাল ৪ টার দিকে স্থানীয় কৃষকরা মাঠে কাজ করতে গিয়ে দেখেন এক নাড়ীর রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে রয়েছেন। পরে স্থানীয়রা জীবননগর থানা পুলিশে খবর দিলে সন্ধায় আখক্ষেত থেকে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করেন।

স্থানীয়রা জানান - গৃহবধূর তারজিনা খাতুন আকন্দবাড়িয়া আবাসনের ঘরে বসবাস করতো।বেশ ক' একদিন আগে স্বামী স্ত্রীর মাঝে ঝগড়াঝাটি হয়।গত সোমবার ছালাম তার স্ত্রীকে হাঁসুয়া দিয়ে কুপিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে মাঠের দিকে টেনে হেচরে নিয়ে যান,তাদের ধারণা স্বামী ছালাম তার স্ত্রীকে মেরে আখক্ষেতে মেরে পালিয়ে গেছে।

চুয়াডাঙ্গা জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ ( তদন্ত) ফেরদৌস ওয়াহিদ এক নাড়ীর মরদেহ উদ্ধারের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান-গৃহবধুর মাথাওহাতে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে তারা স্বামী টারা জন্য স্ত্রীকে হত্যা করেছে। স্বামী আটক ও ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর রহস্য উন্মোচন হবে।স্বামী'র আটকের জন্য পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

এনএফ৭১/জেএস/২০২১

 




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top