দক্ষিণ দিনাজপুরের ৪ উপজেলায় হিমাগার স্থাপনের দাবি
হিলি থেকে | প্রকাশিত: ৩ মার্চ ২০২১, ১৬:১৯
দক্ষিণ দিনাজপুরের ৪ উপজেলা হাকিমপুর, ঘোড়াঘাট, নবাবগঞ্জ ও বিরামপুরে আলু সংরক্ষণের জন্য হিমাগার না থাকায় চাষিরা হতাশায় ভুগছেন। ফলে এ অঞ্চলের উৎপাদিত আম, লিচু ও আলু চাষীরা বাধ্য হয়ে কম দরে বিক্রি করে থাকেন।
৪ উপজেলায় এখনো কোনো হিমাগার স্থাপন হয়নি। এ অঞ্চলে এ বছর গাছে গাছে দেখা দিয়েছে প্রচুর পরিমাণে মুকুল। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে হতে পারে আমের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা। পক্ষান্তরে হিমাগারের অভাবে উৎপাদিত আলু কম দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। সরকারী ভাবে এ অঞ্চলে হিমাগার নির্মিত হলে কৃষকরা পাবে তাদের পণ্যের সঠিক দাম।
আম চাষি আমজাদ হোসেন জানান, এ অঞ্চলে বিভিন্ন ধরনের কাঁচামাল চাষ হচ্ছে। পর্যাপ্ত পরিমাণ আম, লিচু ও আলু উৎপাদন হয়ে থাকে প্রতি বছর। কিন্তু চাষীদের কোনো প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেই। অনেকেই জানেনা কোন কাঁচামাল ও ফলের জন্য কি পরিমাণ সার ব্যবহার করতে হবে। কোন পোকার জন্য কোন কীটনাশক ব্যবহার করতে হবে। কি করলে উৎপাদন আরও বৃদ্ধি পাবে। যদিও উপজেলা কৃষি অফিস থেকে প্রতিবছর প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হলেও তাও আবার তা জোটে গুটি কয়েক কৃষকের ভাগ্যে।
এ বছরে চার উপজেলায় বিভিন্ন প্রজাতির আলুর উৎপাদন হয়েছে প্রচুর পরিমাণে। উৎপাদন ভাল হলেও বাজারে ন্যয্য মূল্য পাচ্ছে না কৃষকেরা। কাজেই এ বছরে কষ্ট করে উৎপাদিত আলু বীজ সংরক্ষণের জন্য এখন পর্যন্ত সরকারি বা বেসরকারি ভাবে স্থপিত হয়নি হিমাগার।
হিলি বন্দরের কাঁচামাল ব্যবসায়ীরা জানান, হিলিতে সরকারী বা বেসরকারী ভাবে হিমাগার নির্মাণ করা হলে আমদানিকৃত কাঁচামাল সংরক্ষণ করা ভালো যেমন হতো তেমনি কৃষকরা ও পেত পণ্যের ন্যায্য মূল্য। তাই তারা দ্রুত হিলি বন্দরে হিমাগার নির্মাণের দাবি জানান।
এনএফ৭১/জেএস/২০২১
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।