দোয়ারাবাজারে বিক্রিত জমি পুনরায় বিক্রয়ের পায়তারা
সুনামগঞ্জ থেকে | প্রকাশিত: ১১ মার্চ ২০২১, ১৮:৫৯
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজারে ৫০ বছর পূর্বে বিক্রিত ভুমি পুণরায় বিক্রয়ের পায়তারা করছে একটি সিন্ডিকেট চক্র।
জালজালিয়াত পর্চা সৃজন করে দোয়ারাবাজার সাবরেজিষ্টার অফিসের দুই ডিডরাইটার ও কিছু চিহ্নিত দালালের যোগসাজসে কোন ধরনের মাঠ পর্চা নামজারী ছাড়াই কমিশনের মাধ্যমে এসএ রেকডীয় মালিকের কন্যা ও নাতিন সেজে ৩য় পক্ষকে সাব-কবালা দলিল রেজিষ্ট্রি না করতে লিখিতভাবে অভিযোগ জানিয়েছেন প্রবাসীর স্ত্রী সুরজান বেগম।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, উত্তর সুলেমানপুর মৌজার ৬নং খতিয়ানের এসএ ১৯৮ ও ১৯৯ নং দাগের হাল দাগ নং ২০৪,২০৯, ২১০ এর সাকুল্য ভুমি ১.০৮সহ ৫ কেদার জমির রেকডীয় মালিক আব্দুর রশিদের একমাত্র পুত্র শুকুর আলী ৫০ বছর পূর্বে বিক্রি করে স্বত্ব ও দখল ত্যাগী হন।
তারপর একই জমি তিন মালিক বদল হয়ে বর্তমান মালিক তালেব আলী সেটেলমেন্ট জরিপে মাঠ পর্চা হাসিল করে ভোগাদিকার থাকাবস্থায় অভিযোগকারীনি সুরজান বেগম ২৯ শতক ভুমি সাফ কবালা রেজিষ্ট্রি দলিল মুলে ক্রয় করে ভোগাদিকার আছেন।
এ নিয়ে তালেব আলীর ভাই কোন ধরনের মালিকানা কাগজ ছাড়াই সুরজানের ছোট বোন জামাইয়ের কাছে স্ট্যাম্পে লিখিতভাবে ১ কেদার জমি বিক্রয়ের অঙ্গিকার করেন। বিক্রয়নামা পাওয়ার পর পরই উভয় পক্ষের মধ্যে তীব্র বিরোধ দেখা দেয় এবং বিষয়টি দোয়ারবাজার থানা পুলিশ পর্যন্ত গড়ায়।
দোয়ারাবাজার থানার ওসি (তদন্ত) আছরিক আলী সরজমিন তদন্ত সাপেক্ষে উভয় পক্ষকে নিয়ে থানায় শালিস বৈঠকে বিষয়টি নিস্পত্তি করে দেন এবং ৩য় পক্ষকে উক্ত ভুমিতে বৈধ কাগজছাড়া প্রবেশ করতে বাধা নিষেধ প্রদান করেন। পরবর্তীতে বৈধ কাগজ তৈরী করতে স্থানীয় চিহ্নিত দালাল ও সাব-রেজিষ্টার অফিসের দুই ডিডলাইটার কমিশনে দলিল করার চেস্টা করে ব্যর্থ হয়।
বৃহস্পতিবার রাতে আজমপুর গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদের কন্যা নুরজাহান বেগম ও নাতি ফারুক মিয়ার কাছ থেকে টিপসহি নিয়ে কোন ধরনের বৈধ মালিকানার কাগজ না থাকা সত্বেও দোয়ারাবাজার সাব-রেজিষ্টার অফিসের ডিডরাইটার ও বিডিআর বিদ্রোহ মামলায় জেল কাটা আসামী আব্দুল মান্নান ও প্রতারনার মামলার আসামী ডিডরাইটার মন্নান মিয়ার সহযোগিতায় সাব-রেজিস্টারকে ভুল বুঝিয়ে কমিশনে দলিল করার অপচেস্টা করে।
অভিযোগকারীনি সুরজান বেগম দোয়ারাবাজার উপজেলা নির্বাহী অফিসার, জেলা রেজিষ্টারসহ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছেন। এ ব্যাপারে অভিযোগকারীনি সুরজান বেগম জানান, আমি বৈধ মালিকের কাছ থেকে বৈধভাবে রেজি:দলিল করে ভোগাধিকার আছি কিন্তু আমার ছোট বোনজামাইকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে আমাকে সম্পত্তিতে উচ্ছেদের পায়তারা করছে একটি সিন্ডিকেট চক্র।
এ ব্যাপারে দোয়ারাবাজার সাব-রেজিষ্টার ফারুক আহমদ জানান, বৈধ কাগজপত্র ছাড়া কোন প্রকার রেজি: দলিল করা সম্ভব নয়। বৈধ কাগজপত্র নিয়ে আসতে পারলে অবশ্যই দলিল করা হবে।
এনএফ৭১/জেএস/২০২১
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।