বরখাস্ত হলেন পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির ৪ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী

কুষ্টিয়া থেকে | প্রকাশিত: ১৩ মার্চ ২০২১, ২২:৩৫

বরখাস্ত হলেন পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির ৪ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী

কুষ্টিয়ার মিরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির রিমুভ সিএমও এর কাজ করার সময় লাইন ক্রু লেভেল-১ ডিলু মিয়ার মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে তার সাথে কাজ করছিলেন লাইনম্যান গ্রেড-১ মনির হোসেন।

পোলে কাজ করার জন্য লাইনম্যান মনির হোসেন ট্রান্সফরমারের লাইন বিচ্ছিন্ন করার জন্য গেলে ট্রান্সফরমারের লাইন বিচ্ছিন্ন করার আগেই লাইন ক্রু ডিলু মিয়া পোলে উঠে কাজ শুরু করেন মর্মে প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে জানা যায়। ওই সময় বিদ্যুতায়িত হয়ে মৃত্যু বরন করন।

পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায় যে, সাধারণত এই ধরনের সিএমও কাজ করার জন্য ফিডার অফ করার প্রয়োজন হয় না। শুধুমাত্র এলটি লাইনের সেকশন অথবা ট্রান্সফরমার বিচ্ছিন্ন করে এই ধরনের কাজ সম্পন্ন করা হয়।

লাইনম্যান কাজের পুর্বে লাইন ভালো ভাবে যাচাই করে কাজ করবে, এটা তার দায়িত্ব ছিল। কিন্তু তাদের দায়িত্বজ্ঞানের ভুলের কারণে অফিস প্রধান ডিজিএমসহ ৪ জন বরখাস্ত হলেন। কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার শতভাগ বিদ্যুতায়ন ও বিদ্যুৎ সেবার মান তাদের হাতেই উন্নত হয়েছে, তবে কেন এই দুর্ঘটনার জন্য ডিজিএম, এজিএম, জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ারসহ লাইনম্যান সাময়িক বরখাস্ত হলেন? এমন প্রশ্ন জনমনে।

বিদ্যুৎ বিভাগের ওই ৪ কর্মকর্তা কর্মচারীর সাময়িক বরখাস্তের বিষয়টি জানাজানি হলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। এ ব্যাপারে একজন গ্রাহক তার ফেসবুকে মন্তব্যে লেখেন-মিরপুর উপজেলার ডিজিএম অত্যন্ত দক্ষ, সৎ এবং কর্মতৎপর একজন বিনয়ী মানুষ। তাঁর কর্মদক্ষতার কারনে এ উপজেলায় শতভাগ বিদ্যুতের আওতায় এসেছে।

অনাকাংখিত ঘটনাটির জন্য উনি বা এজিএম বা জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার বা লাইনম্যান কোন ভাবেই দোষী হতে পারেন না। বাপ্পী জানান, ঘটনার সময় আমি উপস্থিত ছিলাম। স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি তাকে (ডিলু) লাইন বন্ধ হওয়ার আগে বার বার নিষেধ করা স্বত্ত্বেও সে পোলে উঠে যায়।

তার পর এ মর্মান্তিক দূর্ঘটনাটি ঘটে। তার এ করুন মৃত্যুর জন্য সকলে শোকাহত, একইসাথে ৪ জন বাক্তির বরখাস্ত আদেশ প্রত্যাহারের দাবি করছে মিরপুরের সুশীল সমাজ।

এনএফ৭১/জেএস/২০২১




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top