সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

সৈয়দপুরে নববধুকে উত্যক্তের জেরে যুবককে হত্যার চেষ্টা

নীলফামারী থেকে | প্রকাশিত: ২১ মার্চ ২০২১, ১৮:৫৮

সৈয়দপুরে নববধুকে উত্যক্তের জেরে যুবকে হত্যার চেষ্টা

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বিছানায় ছুরিকাঘাতের যন্ত্রণায় ছটফট করছে ট্রাভেলস এজেন্সি সরফরাজ খান ওরফে বাবু (৩২)। শহরের কিছু বখাটে যুবকের হাতে হামলার শিকার হয়ে মুমুর্ষ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তাকে রক্ষা করতে আহত হয় কলেজছাত্রু অনন্ত (২২)। ওই যুবকরা তাদের এক বন্ধুর নববধুকে উত্যক্ত করতো। তারই প্রতিবাদ করায় এ হামলার ঘটনা ঘটেছে।

সূত্র মতে, গত ১৭ মার্চ সন্ধ্যা ৬টার দিকে সৈয়দপুর প্লাজার নীচতলায় হামলার শিকার হয় সরফরাজ খান। শহরের নয়াটোলা মহল্লার ব্যবসায়ী মমতাজ খানের পুত্র সরফরাজ খান প্লাজার ড্রিম ডেসটিনেশন ট্রাভেলস এজেন্সির মালিক। হামলাকারীরা তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথা ও পিঠের ৬টি স্থানে ধারালো চাকু ও কাঁচি দিয়ে আঘাত করে। সেভেন আপের কাঁচের বোতল ভেঙ্গে তাঁর শরীরে জখম করে হামলাকারীরা। এ সময় তাঁকে রক্ষা করতে এসে গুরুতর আহত হয় প্রতিবেশী যুবক অনন্ত। গোলাহাট স্কুল এন্ড কলেজের ছাত্র অনন্ত নয়াটোলা মহল্লার মোখলেছুর রহমানের পুত্র।

আহত সরফরাজ খানের বড় ভাই শাহবাজ খান জানান, সৈয়দপুর শহরের বাঁশবাড়ি টালি মসজিদ এলাকায় বসবাস করে অনন্তের এক ব্যবসায়ী বন্ধু। পাঁচ মাস আগে শহরের কাজীরহাট মহল্লায় বিয়ে করে তার ব্যবসায়ী ওই বন্ধু। নববধুকে শ^শুড়বাড়ির এলাকার নয়াবাজারের সুজন ও নয়ন নামে দুই যুবকের নেতৃত্বে কতিপয় বখাটেরা প্রায় উত্যক্ত করতো। বিষয়টি নিয়ে গত ১৬ মার্চ স্থানীয় থানায় ওই দুই যুবকের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৭/৮ জন যুবকের নামে অভিযোগ দায়ের করে নববধুর স্বামী। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে উত্যক্তকারীরা।

হাসপাতাল থেকে মুঠো ফোনে সরফরাজ খান জানান, ঘটনার দিন অনন্ত ও নববধুর স্বামীসহ বন্ধুদের নিয়ে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বসে আড্ডা দেই। এ সময় হামলাকারী যুবকরা এসে উত্যক্তের শিকার ওই বধুর স্বামীকে থানা থেকে অভিযোগ তুলে নেয়ার জন্য শাসাতে থাকে। আমি বিষয়টা মিমাংসা করে দেয়ার প্রস্তাব দিলে তারা উল্টো আমার ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে স্থান ত্যাগ করে। পরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দলীয় একটি অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে চাঁদার দাবি তুলে তারা আমার ওপর হামলা করে।

এ ঘটনায় বড় ভাই শাহবাজ খান নিজে বাদী হয়ে গত ১৯ মার্চ রাতে সৈয়দপুর থানায় ৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৭/৮ জনের নামে মামলা দায়ের করে। পুলিশ মামলার সাড়ে ৫ ঘন্টার মধ্যে মেরাজ (৩০) নামে এক আসামীকে গ্রেফতার করেছে। মেরাজের বাড়ি শহরের বাঁশবাড়ি মহল্লার হানিফ মোড়ে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই ইন্দ্র মোহন জানান, সরফরাজ খানের ওপর হামলায় ব্যবহৃত কাঁচি ও ব্লেড উদ্ধার করা হয়েছে। মামলার অন্যান্য আসামীদের গ্রেফতারে জোর চেষ্টা অব্যহত রয়েছে।

সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল হাসনাত খান জানান, ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটনে পুলিশ মাঠে কাজ করছে। অল্প সময়ের মধ্যে এ ঘটনার প্রকৃত দোষীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।

এনএফ৭১/জেএস/২০২১




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top