গাইবন্ধায়
স্বামী-শাশুড়ির দেয়া আগুনে অগ্নিদগ্ধ সেই গৃহবধু মারা গেছে!
গাইবান্ধা থেকে | প্রকাশিত: ২৮ মার্চ ২০২১, ২০:১০
গাইবান্ধায় শারিরিক নির্যাতনের পর ম্যাক্সিতে আগুন দিয়ে ঘরে তালাবন্ধ রাখা দগ্ধ গৃহবধু শারমিন বেগম (২১) চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মারা গেছেন। স্বামী ও শাশুড়ীর দেয়া আগুনে শারমিনের শরীরের ৮৫ ভাগই পুড়ে যায়।
২৩ মার্চ গাইবান্ধা সদর উপজেলার কাবিলের বাজার এলাকায় পারিবারিক কলহের জেরে শারমিন বেগম(২১) নামে এক গৃহবধুর পরনের ম্যাক্সিতে আগুন দিয়ে ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখে স্বামী ও শ্বাশুড়ী। শারমিনের বাবার বাড়ি গাইবান্ধা সদর উপজেলার মালিবাড়ি ইউনিয়নের কাবিলের বাজার এলাকায়।
দুই বছর আগে একই এলাকার ইসমাইল হোসেনের ছেলে কোরবান আলীর সাথে বিয়ে হয় শারমিনের। এই দম্পতির দুই মাস বয়সী একটি ছেলে সন্তানও রয়েছে।
এ ঘটনায় গৃহবধুর শরীরের ৮৫ শতাংশ পুড়ে য়ায়। ঝলসে যায় শরীরের বেশ কিছু অংশ। পরে রাতে অগ্নিদগ্ধ ঐ গৃহবধুকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে গাইবান্ধা জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেখানে তার শারিরিক অবস্থার অবনতি হলে রংপুর মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে নেয়া হয়।
সেখানে একদিন থাকার পর শারিরিক অবস্থার আরও অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে ভর্তি করা হয়। (২৬ মার্চ) রাত ১২ টার দিকে বার্ন ইউনিটের আইসিইউতে মারা যান তিনি।
গাইবান্ধা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মজিবর রহমান জানান, ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক। নিহত গৃহবধুর বাবা শফিউল ইসলাম বাদি হয়ে স্বামী, শ্বশুর-স্বাশুড়ীসহ তিনজনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়েরের পরপরই স্বামী কোরবান আলী ও শ্বাশুড়ী কুলসুম বেগম গ্রেফতার করা হয়েছে।
এনএফ৭১/জেএস/২০২১
বিষয়: গাইবান্ধা ঢামেক ঢাকা মেডিকেল কলেজ
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।