সাতক্ষীরায় বেড়িবাঁধ ভেঙে চার গ্রাম প্লাবিত
সাতক্ষীরা থেকে | প্রকাশিত: ১ এপ্রিল ২০২১, ১৮:১৮
সাতক্ষীরার আশাশুনির খোলপেটুয়া নদীর বেড়িবাঁধ স্বেচ্ছাশ্রমে মেরামতের পর বুধবার দুপুরের প্রবল জোয়ারের তোড়ে তা আবারও ভেঙে গেছে। এতে চার গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিতে ভেসে গেছে দুই শতাধিক মৎস্য ঘের ও শত শত বিঘা ফসলি জমি।
পানিবন্দী হয়ে দয়ারঘাট, দক্ষিণ জেলেখালী, জেলেখালীসহ আশাশুনি সদরের ইউনিয়নের চারটি গ্রামের শতাধিক পরিবার মানবেতর জীবন যাপন করছে। পানি প্রবাহিত হচ্ছে সেখানকার প্রধান প্রধান সড়কের উপর দিয়ে। বরাদ্দের পরও মূল বাঁধে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ না করায় আবারও ভাঙ্গনের কবলে পড়তে হয়েছে বলে দাবী ভুক্তভোগীদের।
এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে সুপার মুন পূর্ণিমার গোনে নদীর পানি স্বাভাবিকের চেয়ে বৃদ্ধি পেয়ে আঘাত হানে দয়ারঘাট বেড়িবাঁধে। এতে চারটি পয়েন্টে ভেঙ্গে গ্রামের পর গ্রাম প্লাবিত হয়। ভেসে গেছে আশাশুনিবাসির প্রধান আয়ের উৎস মৎস্য ঘের। তলিয়ে গেছে ক্ষেতের ফসল। মঙ্গলবার সকাল থেকে স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধ মেরামতের কাজ শুরু করলেও দুপুরের জোয়ারের তা আবারও ভেঙে যায়।
ক্ষতিগ্রস্তদের অভিযোগ, ঘূর্ণিঝড় আম্পানের ক্ষতি পুষিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর আগেই পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদাসীনতার কারনে আবারও প্লাবিত হল আশাশুনির চারগ্রাম। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসীর দাবি, ত্রাণ নয়, টেকসই বেড়িবাঁধ চাই। যদিও পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ বলছেন, স্বেচ্ছাশ্রমে এলাকাবাসীর মাধ্যমে দ্রুতই মেরামত করা হবে এ রিং বাঁধ।
আশাশুনি সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান স ম সেলিম রেজা মিলন জানান, বার বার বলার পরও দয়ারঘাটের দুটি পয়েন্টে ৯ মাসে বাঁধ নির্মাণ সম্ভব হয়নি। আর এজন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদাসীনতাকে দায়ী করেন এই জন প্রতিনিধি।
সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড বিভাগ-২ এর নির্বাহী প্রকৌশলী সুধাংশু কুমার সরকার জানান, স্বেচ্ছাশ্রমে এলাকাবাসীর মাধ্যমে দ্রুতই মেরামত করা হবে এ রিং বাঁধ। তিনি আরো জানান, জায়গার জন্য এ বাঁধ মেরামতে দেরী হলেও জরুরী ভিত্তিতে ঠিকাদার নিয়োগ দেয়া হয়েছে। টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণের জন্য ইতিমধ্যে ১ কোটি ৩৮ লাখ টাকার কাজের টেন্ডার হয়েছে। অচিরেই কাজ শুরু হবে বলে তিনি আরো জানান।
এনএফ৭১/এনজেএ/২০২১
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।