পরকীয়া দেখে ফেলায় প্রসনজিৎকে হত্যা করা হয়, অভিযোগ পরিবারের
লক্ষ্মীপুর থেকে | প্রকাশিত: ২ এপ্রিল ২০২১, ০০:৫২
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলায় পরকীয়া প্রেম দেখে ফেলায় প্রসনজিৎকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলছে নিহতের পরিবার। ভুক্তভুগি পরিবারের দাবী মামী রুমা দাস ও ভাগিনা সৈকত দাসের অবৈধ মেলামেশা জানাজানি হওয়ার ভয়ের কারনে প্রসনজিৎকে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়।
রুমা দাস ও সৈকত দাসের বন্ধুদের রিমান্ডে নিলে সত্য বের হয়ে আসবে বলে দাবী করছে নিহত প্রসনজিৎ এর পরিবার। ন্যায় বিচারের আশায় আদালতের শরণাপন্ন হবেন বলেও জানান তারা। নিহতের পরিবার জানায়, সৈকত এর বাড়ি হাতিয়ায় হলেও সে রামগতি মামার বাড়ি থেকে পড়ালেখা করে। প্রসনজিৎ ও সৈকত ঘনিষ্ঠ বন্ধু। সৈকতের সাথে তার প্রবাসী মামা সুমন দাসের স্ত্রী রুমা দাসের অবৈধ প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছে।
একদিন প্রসনজিৎ তাদেরকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলে। বিষয়টি কাউকে না বলার জন্য প্রসনজিৎকে নতুন একটা দামী ফোন কিনে দেয় সৈকত। সুযোগ বুঝে সৈকতের মামাতো বোনের সাথে প্রেমের সম্পর্ক করার প্রস্তাব দেয় প্রসনজিত। শুরু হয় তাদের মনমালিণ্য। নিখোঁজের কয়েকদিন আগ থেকে প্রসনজিৎ প্রান ভয়ে ছিল বলে জানায়। তাকে যে কোন সময় হত্যা করতে পারে বলে সে তার পরিবারকে বলে। এমনকি প্রসনজিৎ এলাকা ছেড়ে চলে যাবার জন্য ব্যাগ ঘুছিয়ে রেখেছে।
কিন্তু ওঁৎ পেতে থাকা হত্যাকারীদের হাত থেকে সে রক্ষা পায়নি। পুলিশ সৈকতকে আটক করলেও অন্য বন্ধুদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ছেড়ে দেয়। নিহত প্রসনজিৎ এর পরিবারের দাবী, সৈকতের বন্ধুরা ও মামী রুমা দাস হত্যা কাণ্ড সম্পর্কে আগ থেকে জানত। তাদের রিমান্ডে নিলে সব বের হয়ে যাবে।
নিখোঁজের ৩ দিন পর গত ২১ মার্চ সকালে বাড়ির পাশে পুকুরে হাত-পা বাধা অবস্থায় প্রসনজিৎ এর লাশ দেখতে পায় এলাকাবাসী। নিহত প্রসনজিৎ ৭নং চর রমিজ ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের কুমদবন্ধু সাহা বাড়ির অধির সাহার ছোট ছেলে।
এঘটনায় ভিকটিমের বাবা বাদী হয়ে রামগতি থানায় নিহতের বন্ধু সৈকত দাসসহ অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামী করে মামলা দায়ের করে। ঐদিন বিকালে সৈকত দাসকে মামার বাড়ি দাস পাড়া থেকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করে। সৈকত দাসের বাড়ি হাতিয়া চর কিং দাস পাড়ায়।
এনএফ৭১/এনজেএ/২০২১
বিষয়: লক্ষ্মীপুর রামগতি
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।