হাসছে সূর্যমুখী, হাসছে ঘোড়াঘাটের কৃষক
দিনাজপুর থেকে | প্রকাশিত: ৩ এপ্রিল ২০২১, ২১:৫৪
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে কৃষিতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করতে যাচ্ছে সূর্যমুখী ফুলের বাণিজ্যিক চাষ। দূর থেকে দেখলে মনে হবে বিশাল আকারের হলুদ গালিচা বিছিয়ে রাখা হয়েছে সূর্যমুখী ফুলের জমিতে। পাশে গেলে চোখে পড়ে হাজার হাজার সূর্যমুখী ফুল।
তাই এ দৃশ্য দেখাতে ও কৃষিতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচনে উপজেলা কৃষি বিভাগ পরিদর্শন করালেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রাফিউল আলমকে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি রবি মৌসুমে উপজেলার ৪টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় পরীক্ষামূলক মোট ৮০ বিঘা জমিতে বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে অধিক লাভজনক ও সম্ভাবনাময় এ সূর্যমুখী ফুল।
উপজেলার বরাতিপুর কৃষক সমবায় সমিতি, নারায়ণপুর গ্রামের কৃষক মঞ্জুরুল, ভর্ণাপাড়া গ্রামের রেজাউল জানান, যে দিন সূর্যমুখী রোপণে জমি চাষ করলাম সেদিন অনেক পরিশ্রম করেছিলাম আর আজ সেই পরিশ্রমের ফল পেলাম। আমি গর্বিত ও খুশিতে আজ বুকটা ভরে উঠছে। কৃষকরা জানান, সাধারণত ধান, গম, ভুট্টাসহ অন্যান্য ফসল নিয়ে সারা বছর ব্যস্ত সময় পার করতেন তারা। সূর্যমুখী ফুল চাষ এতো লাভজনক তা তারা কোনদিন বুঝতে পারেন নি।
উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে চলতি বছরে তারা এ ফুল চাষ করে অনেক আশার আলো দেখছেন। এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এখলাছ হোসেন সরকার জানান, ধান ও সবজির চেয়ে সূর্যমুখীর চাষ লাভজনক কারণ সেচ কম লাগে ও রোগবালাই কম। আমাদের ক্রমবর্ধমান তেলের চাহিদা পূরণে সূর্যমুখী অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। তেল ছাড়াও খৈল দিয়ে মাছের খাবার ও গাছ জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এর কোন অংশই ফেলা যায় না। তিনি আরো জানান, বাড়ির আঙিনায় ও বাড়ির আশপাশ পরিত্যক্ত জায়গায় সূর্যমুখীর চাষ করে পরিবারের ভোজ্য তেলের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব।
এনএফ৭১/এনজেএ/২০২১
বিষয়: দিনাজপুর ঘোড়াঘাট সূর্যমুখী ফুল
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।