সৈয়দপুরে লকডাউনকে পুঁজি করে রিক্সা-অটোরিক্সা ভাড়া নিয়ে নৈরাজ্য

নীলফামারী থেকে | প্রকাশিত: ৯ এপ্রিল ২০২১, ০৩:২৯

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে লকডাউনকে পুঁজি করে নীলফামারীর সৈয়দপুরে ইচ্ছামত ভাড়া আদায় করছেন রিক্সা ও অটো চালকরা।

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে লকডাউনকে পুঁজি করে নীলফামারীর সৈয়দপুরে ইচ্ছামত ভাড়া আদায় করছেন রিক্সা ও অটো চালকরা। বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত ভাড়া দিচ্ছে সাধারণ মানুষ। এতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন যাত্রীরা।

অতিরিক্ত ভাড়া দাবী নিয়ে প্রায় বাকবিতণ্ডা হচ্ছে চালক-যাত্রীদের মধ্যে। অনেক সময় চালকদের হাতে নাজেহাল হচ্ছেন যাত্রীরা। মান সম্মানের ভয়ে অনেক যাত্রী অতিরিক্ত ভাড়া দিতেও বাধ্য হচ্ছেন।

পৌরসভা যানবাহন লাইসেন্স শাখা সূত্রে জানা যায়, ২০০৮ সালে রিকশা ভাড়ার একটি তালিকা প্রণয়ন করা হলেও তা কখনই পুরোপরি কার্যকর হয়নি। ফলে দীর্ঘদিন থেকে রিক্সা-অটোরিকশার ভাড়া নিয়ে চলছে নৈরাজ্য। এদিকে ধীরে ধীরে রিক্সা ও ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা সংখ্যা বাড়লেও কমেনি ভাড়া। এ কারণে অসহায় যাত্রীরা চালকদের চাহিদা পূরণে বাধ্য হচ্ছে। এভাবে মটর চালিত ও পায়ে চালানো রিক্সা চালকরা নির্ধারিত হারের দ্বিগুণ বা তিন গুণ ভাড়া আদায় করছে। তাই পৌরবাসীর অনেকেই নতুন পরিষদের কাছে যৌক্তিক একটি কার্যকর ভাড়ার তালিকা প্রণয়নের দাবি জানিয়েছে।

যাত্রী ফিরোজা আক্তার জানান, আমি চাকরি করি। প্রায় দিনই অফিস যাতায়াত ভাড়া নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। একেকজন রিক্সা চালক একেক রকম ভাড়া দাবি করে। যেখানে ১০ টাকা ভাড়া সেখানে কেউ কেউ ২০-২৫ টাকা দাবী করে। বাধ্য হয়েই বেশি ভাড়া দিতে হয়। চার্জার রিকশাচালক মুরাদ হোসেন জানান, ভাড়ায় ভালোই আয় হয়। লকডাউনে সব কিছুর দাম বেড়ে গেছে। তাই একটু আগের চেয়ে বেশী ভাড়া নিচ্ছি। তবে কেউ দিতে না চাইলে জোর করিনা।

সৈয়দপুর পৌরসভার নব-নির্বাচিত মেয়র রাফিকা আকতার জাহান বলেন, দ্রুত ভাড়া নির্ধারণ করে তালিকা শহরের বিভিন্ন স্থানে টানানো হবে। এছাড়া নির্ধারিত ভাড়া কার্যকরের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এনএফ৭১/এনজেএ/২০২১




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top