নিখোঁজের দুইদিন পরে যুবকের মরদেহ ভেসে উঠলো
সুনামগঞ্জ দোয়ারাবাজার থেকে | প্রকাশিত: ২৫ এপ্রিল ২০২১, ২০:৩৮
দোয়ারাবাজারে নৌকা ডুবিতে নিখোঁজের দুইদিন পর সুরমা নদীতে ভেসে উঠলো শীতেশ রঞ্জন দাশ কদম (৩৪) মরদেহ। শনিবার গভীর রাতে উপজেলার নুরপুর গ্রাম লাগোয়া সুরমা নদীতে ভাসমান অবস্থায় তার মরদেহ পাওয়া যায়। নিহত শীতেশ রঞ্জন দাশ কদম (৩৪) দোয়ারাবাজার উপজেলার মান্নারগাঁও ইউনিয়নের বাসিন্দা মৃত রসিক লাল দাশের পুত্র।
জানা যায়, নিজের ঘরবাড়ি নেই। নেই কোনো ফসলি জমিও। বড় ভাইয়ের বসতঘরের সাথে জোড়াতালি দিয়ে বাঁশের বেড়ার একচালার একটা টিনসেডে স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে থাকতেন শীতেশ রঞ্জন দাস কদম (৩৪)। সবার কাছে কদম দাস নামেই পরিচিত।
ঘরের সামনেই নদীর পাড়ে একটা টং দোকানের ওপর নির্ভর করে চলতো তার ছোট্ট সংসার। আর্থিক টানাপোড়েনের কারণে জীবিকার তাগিদে টং দোকানের ব্যবসার পাশাপাশি দিনমজুরিও করতেন তিনি।
শীতেশ রঞ্জন দাশ কদমের দুই সন্তান। বড় সন্তান ডলি রানী দাশকে বিয়ে দিয়েছেন পার্শ্ববর্তী এলাকায়। ছেলে অনিক বাবু দাশ (১৭) ঢাকায় একটি দোকানে সামান্য বেতনে কাজ করে যে কয় টাকা পেতেন তা দিয়ে বাবাকে সহযোগিতা করতেন।
ছেলে অনিক বাবু দাশ জানান, 'অভাবের কারণে আমাদের পড়াশোনা করা সম্ভব হয়নি। বাবা তার সাধ্যমতো পরিশ্রম করে এতদিন ধরে আমাদের সংসারকে টিকিয়ে রেখেছেন। সংসারের সবকিছু তিনিই দেখভাল করতেন। এখন আমাদের মাথার ছায়াটুকুও হারিয়ে গেলো।'
ইউপি সদস্য দীপক দাশ জানান, 'অত্যন্ত সহজ সরল মানুষ ছিলেন কদম দাস। অভাব অনটনের মধ্যেই স্বাচ্ছন্দ্যে জীবন পার করেছেন। তার অনুপস্থিততে পরিবারটির ওপর বড় ধরনের সংকট নেমে এলো। আমি আমার সাধ্যমতো তাদেরকে সহযোগিতা করব। সমাজের সুহৃদয়বান ব্যক্তিদেরকে পরিবারটির পাশে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে এগিয়ে আসার আহবান জানাই।'
দোয়ারাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাজির আলম সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরী টিম দুইদিন সুরমা নদীতে অনেক খোঁজাখুঁজি করে অবশেষে শনিবার গভীর রাতে শীতেশ রঞ্জন দাস কদমের মরদেহ পাওয়া গেছে।
এনএফ৭১/এনজেএ/২০২১
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।