গাইবান্ধায় স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করেই চলেছে ঈদ কেনাকাটা
গাইবান্ধা থেকে | প্রকাশিত: ৬ মে ২০২১, ২১:৫৯
করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকির মধ্যেই সারাদেশের মতো গাইবান্ধাতেও খুলে দেয়া হয়েছে বিপণী বিতান, শপিংমল ও দোকানপাট। আসন্ন ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে তাই এসব স্থানে জমে উঠেছে কেনাকাটা। বৈশাখের প্রখর তাপ উপেক্ষা করে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দোকানগুলোতে ভিড় জমেছে।
গাইবান্ধার বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, কোথাও মানা হচ্ছে না করোনাকালীন স্বাস্থ্যবিধি। অনেক মার্কেটের প্রবেশদ্বারে রাখা হয়নি জীবাণুনাশক টানেল ও হাত ধোয়ার ব্যবস্থা। বিপণী বিতানগুলোতে নেই হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবহার। দোকানিদের মুখে নেই মাস্ক। আবার কেউ কেউ হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার না করেই নাক মুখে হাত দিচ্ছেন।
মিজান নামের এক বিক্রেতা জানান, এখনো ঈদের বাজার জমে উঠেছে। তীব্র গরম আর রোজার কারণে ক্রেতা দিনের বেলায় আসতে চায় না। বিকালের পর ক্রেতাদের উপস্থিতি আরো বাড়ে। তবে মার্কেটের অধিকাংশ দোকানি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে নারাজ।
এদিকে, স্বাস্থ্যবিধি মানা হচ্ছে না শহরের অভিজাত মার্কেট গুলোতেও । মার্কেটের প্রবেশদ্বারে স্বাস্থ্যবিধি কড়াকড়ি হলেও ভিতরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে অনীহা দেখাচ্ছেন ক্রেতা ও বিক্রেতাগণ। দেখা যায়, মার্কেটের প্রবেশ মুখে মাস্ক পড়ে প্রবেশ করাচ্ছেন নিরাপত্তা কর্মীরা। ভেতরে প্রবেশের সঙ্গে সঙ্গে অনেকেই মাস্ক খুলে রাখছেন। কেউ কেউ মাস্ক থুতনিতে ঝুলাচ্ছেন।অধিকাংশ দোকানে রয়েছে ক্রেতার সমাগম। কোনো কোনো দোকানির মুখে নেই মাস্ক।
এ বিষয়ে গাইবান্ধা ইসলাম প্লাজা মার্কেটের ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ রনি সরকার জানান , আমরা মার্কেটে প্রবেশ দ্বারে ক্রেতাদের হাতে জীবাণু নাশক স্প্রে করছি সেই সাথে শরীরের তাপমাত্রা মাপার ব্যবস্থা করেছি । অনেক ক্রেতা আছেন যারা নিজেরাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে নারাজ । কিন্তু আমরা ব্যবসায়ীরা স্বাস্থ্যবিধি মেনে বেচাকেনা করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।
এনএফ৭১/এনজেএ/২০২১
বিষয়: গাইবান্ধা
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।