অহেতুক মামলায় জড়িয়ে হয়রানী, প্রতিকার পেতে শিক্ষকের আকুতি

সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার থেকে | প্রকাশিত: ২৪ মে ২০২১, ২০:০৭

দোয়ারাবাজারে অহেতুক মামলায় জড়িয়ে হয়রানী, প্রতিকার পেতে সংবাদ সম্মেলন এক শিক্ষকের আকুতি।

দোয়ারাবাজারে মোস্তফা কামাল নামের এক মাদরসা শিক্ষককে অহেতুক মামলায় জড়িয়ে হয়রানীর করা হচ্ছে। তিনি উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের আল-হাসেম একাডেমীর প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও এরুয়াখাই গ্রামের বাসিন্দা। দীর্ঘদিন ধরে একটা পক্ষ অহেতুক মামলায় তার নাম জড়িয়ে হয়রানী করে আসছে।

মামলা থেকে তিনি অব্যাহতি পেতে প্রশাসনের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না। স্থানীয়ভাবে একাধিক বিচার সালিসে মামলা থেকে ওই শিক্ষকের নাম কর্তনের কথা বলা হলেও আজোবধি তার নাম প্রত্যাহার করা হয়নি।

এনিয়ে রোববার দুপুরে উপজেলার লক্ষ্মীপুর ইউনিয়নের চকবাজারে এক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্ততব্যে মাওলানা মোস্তফা কামাল বলেন, 'উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের গিরিশনগর গ্রামের মৃত হাছন আলীর পুত্র আবদুছ সামাদ গত বছর আমার এক ভগ্নিপতি উপজেলার বাঁশতলা গ্রামের মাওলানা নুরুল আমিনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। কেন বা কি কারণে মামলা দায়ের করেন তা আমার কিছুই জানা নেই।'

লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, 'অহেতুক আমাকে হেস্তনেস্ত করা হচ্ছে এবং আগামীতে আরও মামলা মোকদ্দমায় জড়িয়ে আমাকে হয়রানী করা হবে বলে হুমকি ধমকি দিয়ে আসছেন। আমি একজন শিক্ষক হিসেবে এসব হয়রানী থেকে আমাকে রক্ষা করার জন্য আমি প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।'

ওয়ার্ড আ'লীগের সভাপতি ও ব্যবসায়ী আনছার আলী বলেন, 'শিক্ষক মোস্তফা কামালকে মামলায় জড়িয়ে হয়রানী করা হচ্ছে। মামলার বাদী তাঁকে চিনেই না। আমরা অবিলম্বে মামলা হতে তাঁর নাম প্রত্যহারের দাবি জানাই।'

লক্ষ্মীপুর ইউপি চেয়ারম্যান আমীরুল হক বলেন, মোস্তফা কামাল একজন সহজ সরল শিক্ষক মানুষ। তাঁর নাম মামলায় জড়িয়ে অহেতুক হয়রানী করা হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সাবেক ইউপি সদস্য আলকাছ মিয়া, মোহাম্মদ আলী, হাসন আলী, রমজান আলী, নুর হোসেন, মাওলানা মামুন বিন মোস্তফা, বিলাল হোসেন প্রমুখ। এসময় গণমাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এনএফ৭১/এনজেএ/২০২১




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top