আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নির্দেশ অমান্য করে দালান নির্মাণ
সুনামগঞ্জ থেকে | প্রকাশিত: ২৬ মে ২০২১, ২০:২১
সুনামগঞ্জ পৌর শহরের হাছননগরে পঞ্চায়েতসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নির্দেশ অমান্য করে জোরামুলে ভূমি দখলের মাধ্যমে দালাল নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটে ৭ এপ্রিল ২০২১ পৌর শহরের হাছননগর কুড়িয়ারপাড় এলাকায়।
অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সুলতানপুর মৌজাস্থিত মালিক আপ্তাবুর রাজার কাছ থেকে দরিয়াবাজ নিবাসী আফছর উদ্দিনের পুত্র আব্দুল মজিদ ক্রয় করে ভোগাদিকার থাকাবস্থায় হাছননগর এলাকার বাসিন্দা ও ভূমির মালিক মৃত আব্দুল আওয়াল মাস্টার এর থেকে ২০ শতক ক্রয় করলেও প্রকৃত পক্ষে ১৬ শতক ভূমির ভোগাদিকার থাকাবস্থায় স্ত্রী রমিলা খাতুনকে সাড়ে শতক ভূমি দানপত্র মুলে হস্তান্তর করেন।
উক্ত দানপত্র দলিল মোতাবেক স্ত্রী রমিলা খাতুন শহরের স্বনামধন্য একজন বিজ্ঞ আইনজীবীর নিকট নিজের সন্তানদের দেখভাল করার শর্তে ১ শতক ভূমি দান ও ৩ শতক সাফ বিক্রিসহ মোট ৪ শতক ভূমির স্বত্ব ত্যাগ করেন এবং দলিলে চতুঃসীমা উল্লেখ করা হয়। চতুঃসীমা ছিল পূর্বে সরকারী পাকা সড়ক,পশ্চিমে সাবেক আবু মিয়া বর্তমানে আব্দুল করিম, দক্ষিণে দাতার নিজ ও উত্তরে সরকারী খাস ভূমি, পরিমাণ: ৪ শতক বাড়ী রকম ভূমি।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সরজমিন উপস্থিত হয়ে স্থানীয় পৌর কাউন্সিলরসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে উভয় পক্ষের সম্মতিতে সরকারী সার্ভেয়ার দ্বারা পরিমাপ করে যার যার সীমানা নির্ধারণের নির্দেশনা দিলেও দলিল গ্রহীতা ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের জারিকারক লাল মিয়া গং ক্ষমতার অপব্যবহার করে জোরামুলে পাকা দালান নির্মাণের কাজ করেই যাচ্ছেন।
এ নিয়ে যে কোন সময় উভয় পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের সম্ভাবনা দেখা দিলে সুনামগঞ্জ সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত উভয় পক্ষকে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার নির্দেশনা দেন এবং ওসি (তদন্ত) এর দপ্তরে হাজির হওয়ার অনুরোধ করে বিষয়টির শান্তিপূর্ণ সমাধানের অনুরোধ করেন। কিন্তু ভূমি গ্রহীতা লাল মিয়া সংশ্লিষ্ট কাহারও অনুরোধ না মেনে পাকা দালান নির্মাণ কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে।
ক্ষতিগ্রস্ত আক্তারুজ্জামান জানান, আমার মরহুমা আম্মাজান যে চতু:সীমা উল্লেখ করে জায়গার দলিল সম্পাদন করেছিলেন সেটাতে না গিয়ে আমার অবশিষ্ট ভূমিতে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের জারিকারক লাল মিয়া আদালতের ক্ষমতার অপব্যবহার করে পাকা দালান নির্মাণ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। যা ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হওয়ার উপক্রম।
সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) এজাজ আহমদ জানান, উভয় পক্ষের সম্মতিতে পরিমাপ পূর্বক সীমানা নির্ধারণের পর পাকা দালান নির্মাণের নির্দেশনা দিয়েছি। বর্তমানে কোন পক্ষ অমান্য করলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতিক্রমে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এনএফ৭১/এনজেএ/২০২১
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।