নীলফামারীতে অপহরণের ৬ মাস পর মা-শিশুকে উদ্ধার করলো পুলিশ
নীলফামারী থেকে | প্রকাশিত: ২৮ মে ২০২১, ০৮:০০
নীলফামারীতে অপহরণ ও পাচারের শিকার মা-শিশুকে ছয় মাস পর নওগাঁ জেলা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার রাতে নওগাঁ জেলার পত্নীতলা উপজেলা শহর থেকে উদ্ধার করে বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতে পাঠিয়েছে। তবে অপহরণকারীকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
অপহরণ ও পাচার হওয়া ওই মা-শিশু নীলফামারীর জেলার ডোমার উপজেলা শহরের চিকনমাটি বসতপাড়া গ্রামের আল-আমিন ইসলামে স্ত্রী নাজমা বেগম (২৬) ও তাঁর সাত বছর বয়সী শিশু সন্তান নিশাদ। অপহরণের পর ওই মা-শিশুকে অন্যত্রে পাচার করা হয় বলে জানান নীলফামারী সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহমুদ উন নবী।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার উপ-পরিদর্শক শাহারুল ইসলাম জানান, ২০২০ সালের ১১ ডিসেম্বর নীলফামারী জেলা শহরের গাছবাড়ি থেকে ওই মা ও শিশু অপহরণের শিকার হন। এঘটনায় নাজমার স্বামী আল-আমিন ইসলাম বাদী হয়ে নীলফামারী আদালতে চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি অপহরণ এবং একই বছরের ৭ মার্চ মানব পাচারের অভিযোগ দায়ের করেন। ওই মামলায় প্রধান আসামী করা হয় মাহমুদুল হাসান মাড়ুনকে (২৮)। তার বাড়ি ডিমওলা উপজেলা শহরের।
বিজ্ঞ আদালত দু’টি অভিযোগ গ্রহণ করে সদর থানা পুলিশকে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ প্রদান করে। আদালতের নির্দেশে গত ১৩ জানুয়ারি অপহরণ এবং ২৭ মার্চ মানব পাচার প্রতিরোধ আইনে দু’টি মামলা সদর থানায় রুজু করা হয়। অপহৃত মা ও শিশুকে উদ্ধারসহ আসামীকে গ্রেফতারের অভিযানে নামে পুলিশ।
অভিযান পরিচালনার এক পর্যায়ে ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় অপহৃত মা ও শিশুকে নওগাঁ জেলা পত্নীতলা উপজেলা থেকে উদ্ধার করা হয় পত্নীতলা থানা পুলিশের সহযোগীতায়।
মামলার বাদী আল-আমিন ইসলাম বলেন, আমার ছোট মুদি দোকান রয়েছে। স্ত্রী-সন্তানকে অপহরণ ও পাচারের পর থেকে আমার কাছে আড়াই কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা। মামলা দায়েরর পর থেকে সদর থানা পুলিশ আমার স্ত্রী-সন্তানকে উদ্ধার তৎপর ছিল। তাদের এমন তৎপরতায় স্ত্রী-সন্তানকে অক্ষত অবস্থায় ফিরে পেয়েছি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহমুদ উন নবী বলেন, মা-শিশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা শেষে জবানবন্দী রেকর্ডের জন্য বৃহস্পতিবার দুপুরে বিজ্ঞ আদালতে হাজির করা হয়েছে। মামলার আসামীদের গ্রেফতার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এনএফ৭১/এনজেএ/২০২১
বিষয়: নীলফামারী
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।