নীলফামারীতে মজুরি বেশি দিয়েও মিলছে না শ্রমিক
নীলফামারী থেকে | প্রকাশিত: ২ জুন ২০২১, ০৭:৫৪
গোটা নীলফামারী জেলায় পুরোদমে শুরু হয়েছে ইরি-বোরো ধান কাটা-মাড়াই। ফলে দম ফেলার ফুরসত নেই কৃষক ও শ্রমিকের। মাঝে মধ্যে রোদ-বৃষ্টির লুকোচুরি খেলা কৃষকদের বিড়ম্বনায় ফেললেও কাজের গতি কমছে না।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, জেলার ডোমার, ডিমলা, জলয়াকা, কিশোরগঞ্জ, সদর ও সৈয়দপুর উপজেলায় অনুকূল আবহাওয়ায় ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। জেলায় শিলাবৃষ্টি ধান ক্ষেতের তেমন ক্ষতি হয়নি।
চলতি মৌসুমে জেলায় ৮১ হাজার হেক্টর জমিতে বোরোর চাষ হয়েছে। এর মধ্যে বি আর-১৪, উফসি ২৮, ২৯, ৩৩, ৭৪,৮১ এই জাতের ৩৫ হাজার ৪৩০ হেক্টর, হাইব্রিড এসিআই-১, ২, ৩ জাতের ২৪ হাজার ৫৬০ হেক্টর, ও সিনজেনটা (হিরা) ১, ২, ৩,৪ জাতের ২১ হাজার ১০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষ করা হয়েছে।
দেখা গেছে, দক্ষিণে যাওয়া ধানকাটা শ্রমিকরা নিজ এলাকায় ফিরেছেন। তারা দলবেঁধে ধান কাটছেন এলাকায়। প্রতি বিঘা (৬০ শতাংশ) ধান কাটা ও কৃষকের উঠানো পোঁছানো পর্যন্ত পাঁচ হাজার টাকা নিচ্ছেন। কৃষকরা সেই ধান মেশিনে মাড়াই করে নিচ্ছেন ৮০০ টাকায়।
এরপর ধান শুকানো কাজে পুরুষ ও নারী শ্রমিকরা কাজ করছেন। কেউ এই ধান বিক্রি করে মজুরী পরিশোধ করছেন কেউবা গোলায় তুলছেন। অনেকে আবার ভাতের চালের জন্য ধান সিদ্ধ করে নিচ্ছেন। ফলে গ্রামীণ জনপদে মহাযজ্ঞ শুরু হয়েছে।
জেলার জলঢাকা উপজেলার শৌলমারী ইউনিয়নের কৃষক মজিবার রহমান জানান, বেশি দাম দিয়েও ধানকাটা শ্রমিক মিলছে না। কারণ সবার ধান একসাথে পাকায় শ্রমিকের চাহিদা বেড়েছে। বাজারে ভাল দাম পেলে লাভবান হতে পারবো।
মাঠ পর্যায়ের উপ-সহকারি কৃষি কর্মকর্তারা জানান, এবছর বোরো মৌসুমে অতিরিক্ত গরমের কারণে ব্লাস্ট রোগ ও ইঁদুরের উপদ্রুদ্রবে ফসলের সামান্য ক্ষতি হয়েছে কিছু কিছু এলাকায়।
নীলফামারী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, গত কয়েক বছর ধরে স্থানীয় জাতের ধানের আবাদ কমে উপসি (উচ্চ ফলনশীল) জাতের ধানের আবাদ বেড়েছে। মোট উপসির আবাদ হয়েছে ৩৫ হাজার ৪৩০ হেক্টর। বেশি ফলন পাওয়ায় কৃষক এখন হাইব্রিড ও উপসি জাতের ধানের আবাদ বেশি বেশি করেছে। আশা করি, এসব ধানে এবারও বাম্পার ফলন হয়েছে। বাজারে ধানের দাম ভাল পেলে কৃষকের স্বপ্ন পূরণ শতভাগ পূরণ হবে বলে তিনি মনে করেন।
এনএফ৭১/এনজেএ/২০২১
বিষয়: নীলফামারী
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।