মুকসুদপুরে বসত ঘরের বেড়া কেটে চুরি হওয়া শিশু মনীষার মরদেহ উদ্ধার
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর থেকে | প্রকাশিত: ১৬ জুন ২০২১, ০১:০১
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর থেকে বসত ঘরের বেড়া কেটে চুরি হওয়া আড়াই বছরের কন্যা শিশু মনীষা সরকারের মরদেহ উদ্ধার করেছে মুকসুদপুর থানা পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার বাটিকামারী মধ্যপাড়ার তারাপদ সরকারের বাথরুমের সেপ্টিক ট্যাংক থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মুকসদুপুর থানার এস আই মামলার তদন্ত কারী কর্মকর্তা মশিউর রহমান জানান, রোববার দিবাগত আনুমানিক রাত ১ থেকে ২ টার দিকে প্রদীপ সরকার ও বীণা সরকার দম্পত্তির ছোট মেয়ে শিশু মনীষাকে নিয়ে ঘুম থাকা অবস্থায় শিশুটি চুরি হয়ে যায়। এই ঘটনায় মুকসুদপুর থানায় মামলা দায়ের হলে আমরা সার্বক্ষণিক শিশুটিকে খোজ করতে থাকি।
তারই ধারাবাহিকতায় ঘটনাস্থলে থাকলে একই বাড়ির সুলিল মালোর ছেলে সুদেব মালো বেলা দেড়টার সময় ফোন করে জানায় পার্শ্ববর্তী বাড়ির তারাপদ মালোর বাথরুমের সেপ্টিক ট্যাংকের পাশে একটি ছুরি ও একটা কাচি দেখা যায় এবং সেপ্টিক ট্যাংকের ঢাকনার কিছু অংশ আলগা রয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে পৌঁছে সেপ্টিক ট্যাংকের ঢাকনা খুলে শিশুর মরদেহ দেখতে পাই। পরে থানার ওসিকে ঘটনা জানানোর পরে তিনি এসে মরদেহ উদ্ধার করেন।
মুকসুদপুর থানার ওসি মো: আবু বকর মিয়া জানান, প্রদীপ সরকারের আড়াই বছর বয়সের মেয়ে মনীষাকে রাতে যে কোন সময় দুর্বৃত্তরা ঘরের বেড়া কেটে তাকে নিয়ে যায় এই সংক্রান্তে থানায় একটা মামলা হয়, এই মামলার তদন্তকারী অফিসার, মামলার তদন্তের ধারাবাহিকতায় ভিকটিমকে আমরা উদ্ধার করতে সর্বত্র চেষ্টা করতে থাকি এবং তাকে উদ্ধারের সেই চেষ্টার ধারাবাহিকতায় অদ্য বাদীর ঘর সংলগ্ন পূর্ব পাশে তারাপদ মালোর বাথরুমের সেপ্টিক ট্যাংকির মধ্যে থেকে মনীষার লাশ উদ্ধার করা হয়।
তিনি আরো বলেন, আমরা ধারনা করতেছি যে এটা একটা পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। তদন্তের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আমরা পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো এবং ঘটনার সাথে যারা জড়িত সেটা আমরা উৎঘাটনের জন্য যথাযথ চেষ্টা করে যাচ্ছি।
এনএফ৭১/এনজেএ/২০২১
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।