গোপালগঞ্জে আষাঢ়ের প্রথম দিনে কদম ফুলের দেখা না মিললেও মিলেছে বৃষ্টির

গোপালগঞ্জ থেকে | প্রকাশিত: ১৬ জুন ২০২১, ০১:২৮

গোপালগঞ্জে আষাঢ়ের প্রথম দিনে কদম ফুলের দেখা না মিললেও মিলেছে বৃষ্টির

আষাঢ়ের প্রথম দিনে কোথাও দেখা মেলেনি কদম ফুলের। তবে গোপালগঞ্জের আকাশে দেখা মিলেছে কালো মেঘ আর বৃষ্টির। তবে কদম ফুলে দেখা না মেলায় আষাঢ়ের প্রথম দিনটি যেন পায়নি পরিপূর্ণতা।

কাল বৈশাখী ঝড় শুরু হয়েছে বৈশাখ মাস শুরু হবার সাথে সাথে। তবে এবার আষাঢ়ের প্রথম দিনই দেখা দিলো হৃদয় শীতল করা বৃষ্টিরানী। করোনাকালে আষাঢ় তার বৃষ্টির রিমঝিম শব্দ শোনালো। কেউ বা শুনেছে বৃষ্টিতে ভিজে আবার কেউ বা শুনেছে ঘরে মাঝে বন্দি অবস্থায় জানালার পাঁশে দাঁড়িয়ে হাত বাড়িয়ে দিয়ে। মন্ত্র মুগ্ধের মত রিমঝিম শব্দে হারিয়ে গেছে অনেকেই।

আষাঢ়ের প্রথম দিনটি নিরাশ না করতে আজ মঙ্গলবার (১৫ জুন) সকাল থেকেই গোপালগঞ্জের আকাশ হয়ে পড়ে মেঘাচ্ছন্ন। যেন দিনের বেলায় নেমে আসে সন্ধ্যার আবহ। এরপরই শুরু হয় বৃষ্টি। এতে স্বস্তির নিশ্বাঃস ফেলে সাধারণ মানুষ। ছাতা নিয়ে বৃষ্টির মধ্যে কাজে বের হয়ে পরে অনেকেই। বৃষ্টিতে জেলা শহরের বিভিন্ন সড়কে জমে ওঠে পানি। এতে সাধারণ মানুষকে হাটা চলায় পড়তে হয় চরম ভোগান্তিতে। বেশ কয়েকদিন ধরে তীব্র গরমে পুড়ছিল গোপালগঞ্জের জন জীবন।

আষাঢ় ও শ্রাবণ-দুই মাস বর্ষাকাল। আষাঢ়ে গাছে গাছে ফোটে কদম ফুল, যা বর্ষার রূপকে বাড়িয়ে দেয়। কিন্তু শহরের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা মিলল না কদম ফুলের। তাই বৃষ্টি হলেও পরিপূর্ণতা পেলা না আষাঢ়ের আগমন। তারপরেও বর্ষাকাল মানেই মেঘ, বৃষ্টি, প্রেম, তুন প্রাণ, জেগে ওঠার গান। বর্ষায় বাংলার নদ নদী পূর্ণযৌবনা হয়ে ওঠে।

জেলা শহরের বাসিন্দা কিশোর সুব্রত ঘোষ, সুলতান শেখ বলেন, বৃষ্টি নামার সাথে সাথে আমরা ভিজতে ঘর থকে বের হয়ে পড়ি। বৃষ্টিতে ভিজতেই যেন মনে পড়ে যায় ছোট বেলা কথা। বৃষ্টিতে ভিজলে বা স্কুল থেকে ভিজে বাড়ীতে ফিরলে প্রচণ্ড বকুনি দিতো মা। তবে এখন আর বকুনি দেয় না। বৃষ্টির স্বাধীনতা আর খেয়াল খুশির মত স্বাধীনতা মিলেছে আমাদেরও।

এনএফ৭১/এনজেএ/২০২১




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top