গাইবান্ধায় বেহাল অবস্থায় ২৫ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ
গাইবান্ধা থেকে | প্রকাশিত: ১৮ জুন ২০২১, ১৯:০৯
গাইবান্ধায় ব্রহ্মপুত্র নদের ৭৮ কিলোমিটার দীর্ঘ বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের মধ্যে ২৫ কিলোটামিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের বেহাল অবস্থা। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত ওই বাঁধ সংলগ্ন নদী তীরবর্তী সুন্দরগঞ্জ, গাইবান্ধা সদর, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার মানুষ নদী ভাঙন ও আকস্মিক বন্যা আতঙ্কে রয়েছে।
উল্লেখ্য, ১৯৬২ সালে গাইবান্ধা উত্তরে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়ন থেকে শুরু করে গাইবান্ধা সদর উপজেলা ও ফুলছড়ি উপজেলার উপর দিয়ে দক্ষিণে সাঘাটা উপজেলার জুমারবাড়ী ইউনিয়ন পর্যন্ত ৭৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এই ব্রহ্মপুত্র বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ করা হয়। এরমধ্যে বিগত কয়েক বছরে ৫৩ কিলোমিটার মেরামত করা হয়। অবশিষ্ট গাইবান্ধা সদর, সুন্দরগঞ্জ ও সাঘাটা উপজেলার ২৫ কিলোমিটারেরও বেশি অংশের বাঁধের অবস্থা একবারেই বেহাল। আসন্ন বন্যায় এসব স্থানে বাঁধ ভাঙার আশংকা রয়েছে। কেননা প্রতিবছর ব্রহ্মপুত্র বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের বিভিন্ন অংশ ভেঙে জেলার ফুলছড়ি, সাঘাটা, গাইবান্ধা সদর উপজেলার বেশকিছু ইউনিয়ন প্লাবিত হওয়ায় পানিবন্দী হয়ে পড়ে হাজার হাজার মানুষ। ক্ষতিগ্রস্ত হয় হাজার হাজার একর জমির ফসল, রাস্তা-ঘাট, সেতু-কালভার্টসহ অসংখ্য স্থাপনা।
জানা গেছে, ৭৮ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের মধ্যে ২৮ কোটি ৭৮.৭১ লাখ টাকা ব্যয়ে ব্রহ্মপুত্র নদের ডান তীর সুন্দরগঞ্জের চন্ডিপুর থেকে সদর উপজেলার গোঘাট মালিবাড়ি পর্যন্ত ১২.৫০ এবং সদর উপজেলার বাগুড়িয়া থেকে সাঘাটার কুকড়ারহাট পর্যন্ত ১৬.০০ মোট ২৮.৫০ কিলোমিটার বাঁধের কাজ চলমান রয়েছে। এছাড়া সদর উপজেলার কাউন্সিলের বাজার থেকে একই উপজেলার বাগুড়িয়া পর্যন্ত ৭.০০ এবং সাঘাটার কুকড়ারহাট থেকে জুমারবাড়ি পর্যন্ত ২১.৫০ মোট ২৮.৫০ কিলোমিটার কাজের প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছে। যার ব্যয় ধরা হয়েছে ২৯ কোটি টাকা।
এব্যাপারে গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মোখলেছুর রহমান জানান, ইতোপূর্বে গাইবান্ধার তিনটি প্রকল্প পাশ হয়েছে একনেক কর্তৃক। এ প্রকল্পগুলোর কাজ চলমান রয়েছে। এগুলো হচ্ছে সুন্দরগঞ্জ থেকে সাঘাটার জুমারবাড়ি পর্যন্ত ৭৮ কি.মি. বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ। এর মধ্যে ১০ কি.মি. মেরামত করা হয়েছে। এই প্রকল্পের সাথে ১৫ কি.মি., আরেকটি প্রকল্পে ১৮ কি.মি. বাঁধ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। আর যে ১০ কি.মি. বাঁধ মেরামত সম্পন্ন হয়েছে। এই প্রকল্পের সাথে আরও ১৫ কি.মি. বাঁধ অন্তর্ভুক্ত করে ২৫ কি.মি. বাঁধ সংস্কারের জন্য বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। এ প্রকল্প অনুমোদন পেলে আগামী বছরের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত ৭৮ কি.মি. বাঁধের মেরামত সম্পন্ন হবে।
এনএফ৭১/আরএইচ/২০২১
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।