করোনা সংক্রমণ রোধে গোপালগঞ্জে শুরু হয়েছে ৯ দিনের সর্বাত্মক লকডাউন

করোনা সংক্রমণ রোধে গোপালগঞ্জে শুরু হয়েছে ৯ দিনের সর্বাত্মক লকডাউন। মঙ্গলবার (২২জুন) সকাল ৬ টা থেকে জেলায় এ লকডাউন শুরু হয়। এ লকডাউন চলবে ৩০ জুন মধ্য রাত পর্যন্ত।

লকডাউনের প্রথম দিনে সকাল থেকে জেলা শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ অবস্থান নিয়ে লকডাউন কার্যকর করছেন। শহরের চলাচলকারী ব্যাটারি চালিত ইজিবাইক ও অটো রিক্সা ফিরিয়ে দিচ্ছেন। তারপরও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে শহরের কিছু সংখ্যক ইজিবাইক ও অটো রিক্সা চলাচল করছে। শহরের নিত্যপণ্যের দোকান খোলা থাকলেও অন্যান্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। শহরের প্রধান কাঁচা-বাজার খোলা থাকলেও তুলনামূলক ভাবে ক্রেতা কম রয়েছে।

প্রয়োজন ছাড়া সাধারণ মানুষকে বাইরে বের হতে মানা করা হলেও অনেকেই তবে প্রয়োজন বা অপ্রয়োজনে ঘর থেকে বাইরে বের হয়েছেন। শহরের চলাচলকারী সাধারণ মানুষকে মাস্ক ব্যবহার করতে বাধ্য করা হলেও অনেকই মাস্ক পড়ছেন না ও স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না।

গোপালগঞ্জ থেকে দূরপাল্লা ও অভ্যন্তরীণ রুটে কোন পরিবহন ছেড়ে যায়নি। গোপালগঞ্জের কোন স্টেশন থেকে ভাটিয়াপাড়া-কালুখালিও গোপালগঞ্জ-রাজশাহী রুটের রেল চলাচল বন্ধ হয়েছে। লকডাউনে সচেতন করতে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিংয়ের মাধ্যমে ব্যাপক প্রচারণা চালানো হচ্ছে।

গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানাগেছে, গেল ২১ দিনে জেলায় ২ হাজার ৭২ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫’শ ২৯ জনের করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়েছে এবং ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে।

গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা: সুজাত আহমেদ জানান, জেলায় প্রতিদিনই করোনা শনাক্তের হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। যা জনস্বার্থের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। এ বিষয়টি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়। পরে সরকার এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।

জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা জানিয়েছেন, গোপালগঞ্জে প্রতিদিনই করোনা সংক্রমণের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ কারনে সরকার জেলায় লকডাউনের ঘোষণা দিয়েছে। লকডাউন কার্যকর করতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মাঠ রয়েছে। সদরসহ ৫ উপজেলায় মাইকিং করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, এর আগে স্থানীয় প্রশাসন করোনা সংক্রমণরোধে গোপালগঞ্জ পৌর এলাকা, সদর উপজেলার লতিফপুর ইউনিয়ন, কাশিয়ানী উপজেলা সদর ও মুকসুদপুর উপজেলা সদরে ৭ দিনের লকডাউন ঘোষণা করেছিল। তা চলমান থাকতেই এ আদেশ জারি করা হলো।

এনএফ৭১/এনজেএ/২০২১