আইয়ুব বাচ্চু প্রয়াণের ৩ বছর

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১৯ অক্টোবর ২০২১, ০০:৩২

আইয়ুব বাচ্চু প্রয়াণের ৩ বছর

"চলো বদলে যাই..." বলে শত শত ভক্ত গলা মেলালেও তার প্রতি শ্রোতাদের ভালোবাসা কিন্তু বদলায়নি। ২০১৮ সালের ১৮ অক্টোবর তিনি দুনিয়া ছেড়ে চলে গেলেও আজ তিন বছর পরেও একই অধিস্থানে আছেন বাংলাদেশের অন্যতমস সংঙ্গীত তারকা আইয়ুব বাচ্চু।

১৯৬২ সালের ১৬ আগস্ট চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার খরনা ইউনিয়নে জন্মগ্রহণ করেন আইয়ুব বাচ্চু। তার বাবা ইশহাক চোধুরী। মা নুরজাহান বেগম। একটি সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে তার বেড়ে উঠা। পরিবারের কেউ যুক্ত ছিলেন না সংগীতের সাথে। এমনকি তার ভাই-বোনদের মধ্যেও কেউ না। কিন্তু বাচ্চু ছোটবেলা থেকেই গিটার বাজানোর নেশায় মাতেন। জানা যায়, জিমি হেনড্রিক্সকে দেখার পর গিটারের বিষয়টা প্রথম আকর্ষিত করে আইয়ুব বাচ্চুকে।

তার সংগীত জীবন শুরু হয় মূলত ১৯৭৭ সালে। ১৯৭৮ সালে তিনি যোগ দেন ব্যান্ড ফিলিংসে। তার প্রথম গান ‘হারানো বিকেলের গল্প’। এরপর যোগ দেন সোলসে। ১৯৮০ থেকে পরবর্তী পুরো এক দশকে ব্যান্ডের সঙ্গেই যুক্ত ছিলেন। সোলস ছাড়ার পর ১৯৯১ সালে নিজে গঠন করেন নতুন ব্যান্ড এলআরবি। প্রথমে এলআরবির পূর্ণ অর্থ ছিল লিটল রিভার ব্যান্ড। এ নামে অস্ট্রেলিয়াতে আরেকটি ব্যান্ড থাকায় পরে বদল করে করা হয় লাভ রানস ব্লাইন্ড।

আইয়ুব বাচ্চু একাধারে গায়ক, গীতিকার, সুরকার, সংগীত পরিচালক হিসেবে খ্যাত ছিলেন। তার হাত ধরে বাংলা ব্যান্ডজগৎ সমৃদ্ধ হয়েছে, সেই সাথে এদেশের চলচ্চিত্রও পেয়েছে অনেক শ্রোতাপ্রিয় গান। দীর্ঘ কয়েক দশকে অসংখ্য কালজয়ী, জনপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন আইয়ুব বাচ্চু। তার মধ্যে ‘চলো বদলে যাই,’ ‘হাসতে দেখো,’ ‘এখন অনেক রাত,’ ‘রুপালি গিটার’, ‘মেয়ে’ ‘আমি কষ্ট পেতে ভালোবাসি,’ ‘সুখের এ পৃথিবী,’ ‘ফেরারি মন,’ ‘উড়াল দেবো আকাশে,’ ‘বাংলাদেশ,’ ‘আমি বারো মাস তোমায় ভালোবাসি,’ ‘এক আকাশের তারা,’ ‘সেই তারা ভরা রাতে,’ ‘আমি তো প্রেমে পড়িনি’ অন্যতম।

এনএফ৭১/এনজেএ/২০২১




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top