সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের চলে যাওয়ার এক বছর

নিউজফ্ল্যাশ৭১ ডেস্ক | প্রকাশিত: ১৬ নভেম্বর ২০২১, ০৬:২০

সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের চলে যাওয়ার এক বছর

বাংলা সিনেমার কিংবদন্তী অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের চলে যাওয়ার এক বছর পার হলো আজ। তাকে ঘিরে চারপাশের শতবর্ষ জন্মদিন পালনের যে ইচ্ছেটা তার প্রিয় মানুষেরা পুষে রেখেছিলেন, সেটা আর পূর্ণতা পেলনা। কবিতাচর্চা, রবীন্দ্রপাঠ, সম্পাদনা, নাট্যসংগঠন তার বিপুল বৈচিত্র্যের একেকটি দিক।

বাংলা সিনেমাজগতের আরেক কিংবদন্তি ছবি বিশ্বাসের সঙ্গে সৌমিত্রকে পরিচয় করিয়ে দেন সত্যজিৎ রায়। ‘অপুর সংসার’-এ অপু হন তিনি। এরপরে সত্যজিতের প্রায় ১৪টি সিনেমায় অভিনয় করেছিলেন সৌমিত্র। সত্যজিতের সৃষ্টি ‘ফেলুদা’কেও বড় পর্দায় জীবন্ত করেছিলেন তিনিই। দীর্ঘ ৬০ ক্যারিয়ারে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় সত্যজিত রায় ছাড়াও মৃণাল সেন, তপন সিংহসহ বহু নামী পরিচালকের প্রায় দুইশয়ের মত ছবিতে অভিনয় করেছেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়। তার খুবই জনপ্রিয় ছবিগুলোর মধ্যে আছে মৃণাল সেনের ‘আকাশ-কুসুম’, তপন সিংহের ‘ক্ষুধিত পাষাণ’, ‘ঝিন্দের বন্দী’, অজয় করের ‘অতল জলের আহ্বান’, ‘সাত পাকে বাঁধা’, ‘পরিণীতা’, আশুতোষ বন্দোপাধ্যায়ের ‘তিন ভুবনের পারে’ ইত্যাদি।

আরও আছে ‘অশনিসংকেত’, ‘সোনার কেল্লা’, ‘দেবদাস’, ‘নৌকাডুবি’, ‘গণদেবতা’, ‘হীরক রাজার দেশে’, ‘আতঙ্ক’, ‘গণশত্রু’, ‘তিন কন্যা’, ‘আগুন’, ‘শাস্তি’, ‘জয় বাবা ফেলুনাথ’ প্রভৃতি। মঞ্চ নাটকেও তার পদচারণা ছিলো দুর্দান্ত। নাটক লিখেছেন, অভিনয় করেছেন৷ বাংলাদেশেও মঞ্চ মাতিয়ে গেছেন তিনি। একজন কবি ও কবিতা আবৃত্তি শিল্পী হিসেবেও ছিলেন নন্দিত।

অনেক পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন সৌমিত্র। ২০০৪ সালে তাকে পদ্মভূষণে সম্মানিত করা হয়। এ ছাড়া জাতীয় পুরস্কার, দাদাসাহেব ফালকেসহ অনেক পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।

এনএফ৭১/এনজেএ/২০২১

 




পাঠকের মন্তব্য

মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।

Top