কিংবদন্তির রহস্যজনক মৃত্যুর ২৭ বছর
মৃত্যুর ৭ দিন আগে মাকে কী বলেছিলেন সালমান শাহ?
রায়হান রাজীব | প্রকাশিত: ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ২৩:৪৩
বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) বাংলা সিনেমার চিরসবুজ নায়ক সালমান শাহ’র চলে যাওয়ার দিন। ১৯৯৬ সালের এই দিনে রহস্যমৃত্যুকে আলিঙ্গন করে তিনি পাড়ি জমান না ফেরার দেশে। তাঁর মৃত্যুতে বাংলা সিনেমার একটি ক্ষণস্থায়ী উজ্জ্বল অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি ঘটে।
তিনি ছিলেন বাংলা চলচ্চিত্রের ধূমকেতু। ছিলেন স্টাইল আইকন। তাঁর স্টাইলিশ চলাফেরা, ফ্যাশন সচেতনতা সর্বকালর জন্য প্রযোজ্য। ফলে নতুন প্রজন্মের অনেক নায়কই তাকে আদর্শ মেনে অনুসরণ-অনুকরণ করেন।
সালমান শাহর জন্ম ১৯৭১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর, সিলেটের জকিগঞ্জ, দড়িয়াপাড়ায়। তার পারিবারিক নাম শাহরিয়ার চৌধুরী ইমন। বাংলা সিনেমায় ক্ষণজন্মা এ উজ্জ্বল নক্ষত্রের উদয় হয়েছিল সেই ১৯৯৩ সালে। আর এখন ২০২৩। এর মধ্যে গড়িয়ে গেছে ৩০টি বছর। কিন্তু সালমানের আবেদন একটুও কমেনি; বরং বেড়েছে।
১৯৯৩ সালে কেয়ামত থেকে কেয়ামত সিনেমার মাধ্যমে চলচ্চিত্রে আগমন। প্রথম সিনেমাই সালমান শাহ দর্শকের মনে ঝড় তোলেন। রাতারাতি হয়ে ওঠেন তারকা। একের পর এক সিনেমা আসে তার ঝুলিতে। পরবর্তী তিন বছর চুটিয়ে কাজ করেছেন সালমান শাহ।
ঠিক ২৭ বছর আগে ঢাকার ইস্কাটনের বাসায় সালমান শাহর রহস্যমৃত্যু ঘটে। সেই রহস্যের জট এখনও খোলেনি। রয়েছে ধোঁয়াশা। দফায় দফায় তদন্ত, প্রতিবেদন দাখিল হয়েছে। কিন্তু তাতে সন্তুষ্ট হতে পারেনি নায়কের পরিবার কিংবা ভক্তরা। তাঁর মৃত্যু আজও ভক্তদের মনে বিষাদ ছড়ায়, আজও তাঁরা জানতে চান, নায়কের সেই প্রস্থান কি আসলেই ছিল আত্মহত্যা? নাকি পরিকল্পিত খুন?
সালমানের মা নীলা চৌধুরী বলেন, সালমান শাহ মৃত্যুর মাত্র সাত দিন আগে কোনো এক রাতে আমাকে বলছিল- মা, আমাকে তারা তোমার কাছে ফিরতে দেবে না। আমি তখন প্রশ্ন করেছিলাম- তারা কারা। তখন সে কিছুই বলেনি। এত কোনো সন্দেহ নেই যে আমার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত আজিজ মোহাম্মদ, সালমান শাহর স্ত্রী সামিরাসহ চলচ্চিত্র জগতের অনেকেই।
তিনি বেঁচে থাকলে ইন্ডাস্ট্রি আরও অনেক এগিয়ে যেতো নি:সন্দেহে। তার সৃষ্টির মাধ্যমে তিনি সারা জীবন বেঁচে থাকবেন মানুষের হৃদয়ে।
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।