ডিম নিয়ে বিবাদ!
নিউজফ্ল্যাশ৭১ ডেস্ক | প্রকাশিত: ১৫ আগষ্ট ২০২১, ০০:২৭
‘পাওয়ার হাউজ অব নিউট্রিশন বা পুষ্টির আধার বলা হয় ডিমকে। প্রাণীজ প্রোটিনের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে ডিম।
আদর্শ প্রোটিন ফ্যাক্টরি এই ডিমে রয়েছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, যা হৃদরোগসহ অনেক রোগের বিরুদ্ধে বেশ কার্যকরী। তবে পুষ্টিগুণে ভরা এই ডিম পরিমাণের বেশি খেলে বিপরীত ঘটার আশঙ্কাও থাকে। তাই দিনে দুটির বেশি ডিম খাওয়া কখনোই ভালো নয়, বলছেন বিশেষজ্ঞরা।
পুষ্টিবিদ কেরি গানস তার ‘দ্য স্মল চেঞ্জ ডায়েট’ নামের বইটিতে উল্লেখ্য করেছেন, একজন ব্যক্তির এক সপ্তাহে এক ডজন ডিম পর্যাপ্ত। সেই হিসাব অনুযায়ী প্রতিদিন দুটি ডিম খেলে স্বাস্থ্য ঝুঁকি থাকে না।
তবে এখানেও একটা বিবাদ আছে। কেরি বলেছেন, দিনে দুটি ডিম খাওয়া যেতে পারে। তবে খেয়াল রাখতে হবে যে সে আগেই পর্যাপ্ত চর্বি গ্রহণ করেছে কিনা। করে থাকলে তার জন্য দিনে দুটি ডিম খাওয়া ঠিক হবে না। যদি দুটো ডিমের পাশাপাশি পর্যাপ্ত পনির একসঙ্গে খাওয়া হয় তাহলে ক্যালরি গ্রহণ করা পরিমাণের তুলনায় বেশিই হবে।
সব মিলে বলা চলে দিনে কয়টা ডিম খাওয়া যাবে, সেটা সম্পূর্ণই নির্ভর করে সারাদিন গ্রহণ করা আমাদের অন্যান্য খাবারের ওপর। মোটামুটি আকারের ডিমে রয়েছে ৮০ ভাগ ক্যালরি, ৫ গ্রাম ফ্যাট এবং ৬ গ্রাম প্রোটিন। যদি একটু অলিভ অয়েল, লবণ ও গোলমরিচ দিয়ে ডিম ভেজে খাওয়া হয় সেক্ষেত্রে দিনে দুটি ডিম খাওয়া যেতেই পারে। কিংবা সঙ্গে যদি থাকে পর্যাপ্ত সবজি।
অনেকের ধারণা বয়স চল্লিশের বেশি হলে কুসুম না খাওয়া ভালো। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, বিশেষ কোনো অসুখ যেমন কিডনির অসুখে ডিমের কুসুম খেতে নিষেধ করা হয়। অন্যথায় বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীরে ডিমের প্রয়োজনীয়তাও বাড়ে।
এনএফ৭১/এনজেএ/২০২১
বিষয়: ডিম
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।