মুড়াপাড়া জমিদার বাড়ি
নিউজফ্ল্যাশ৭১ ডেস্ক | প্রকাশিত: ৩১ মে ২০২১, ০০:২২
ঢাকার আসে পাশেই পুরনো নিদর্শনীও স্থান হিসেবে যদি কোন জায়গার কথা বলা হয় তাহলে অবশ্যই নারায়নগঞ্জ রুপগঞ্জের রাজবাড়ির কথা উল্লেখ করা যেতে পারে। নারায়নগঞ্জ শহর থেকে ২৩ কি.মি. ও ঢাকা থেকে এর দূরত্ব ২০ কি.মি.।
অতন্ত নিদর্শনীও মুড়াপাড়া এই রাজবাড়িটি ৬২ বিঘা জমির ওপর অবস্থিত। ইতিহাস চিত্র থেকে জানা মতে জমিদার বাড়িটি তৈরি করেন বাবু রাম রতন ব্যানার্জী । যিনি এ অঞ্চলে মুড়াপাড়া জমিদার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এরপর তার কয়েকজন বংশধর কর্তৃক প্রাসাদটি সংস্কার ও সম্প্রসারণ করা হয়। ১৮৮৯ খ্রিষ্টাব্দে জমিদার প্রতাপচন্দ্র ব্যানার্জী এই ভবনের পিছনের অংশ সম্প্রসারণ করেন ও পরিবার নিয়ে এখানেই বসাবাস শুরু করেন।
তার পুত্র বিজয় চন্দ্র ব্যানার্জী ১৮৯৯ খ্রিষ্টাব্দে প্রাসাদের সামনের অংশে একটি ভবন নির্মাণ ও ২টি পুকুর খনন করেন। ১৯০৯ খ্রিষ্টাব্দে তার দুই পুত্র জগদীশ চন্দ্র ব্যানার্জী ও আশুতোষ চন্দ্র ব্যানার্জী কর্তৃক প্রাসাদের দোতালার কাজ সম্পন্ন করা হয়।
১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দে ভারত উপমহাদেশ বিভক্ত হওয়ার পর জগদীশ চন্দ্র তার পরিবার নিয়ে কলকাতা গমন করেন। এরপর থেকে বাড়িটি পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল। ১৯৪৮ খ্রিষ্টাব্দে তৎকালীন পাকিস্তান সরকার বাড়িটি দখল নেয় এবং এখানে হাসপাতাল ও কিশোরী সংশোধন কেন্দ্রের কার্যক্রম শুরু করে।
১৯৬৬ খ্রিষ্টাব্দে এখানে স্কুল ও কলেজের কার্যক্রম পরিচালনা করা হত। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৮৬ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশ প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর বাড়িটির দায়িত্ব গ্রহণ করে সেটিকে প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা হিসেবে তালিকাভুক্ত করে।
দ্বিতল এ জমিদার বাড়িটিতে ৯৫টি কক্ষ রয়েছে। রয়েছে সংলগ্ন ২টি পুকুর বাড়ির সামনে একটি বৃহদাকার পুকুর; পেছনভাগে তুলনামূলক ক্ষুদ্রকার আরেকটি পুকুর। এছাড়াও পুরো জমিদার বাড়িটিতে রয়েছে বেশকিছু নাচঘর, আস্তাবল, মন্দির, ভাণ্ডার ও কাচারি ঘর। মন্দিরের ওপরের চূড়াটি প্রায় ৩০ ফুট উঁচু। মূল প্রাসাদে প্রবেশের পথে রয়েছে বেশ বড় একটি ফটক। একটি আম বাগানও আছে জমিদার বাড়ির পাশে। সেইসাথে প্রধান সড়কের পাশে রয়েছে দু'টি পুরনো মঠ।
এনএফ৭১/এনজেএ/২০২১
পাঠকের মন্তব্য
মন্তব্য পাঠকের একান্ত ব্যক্তিগত। এর জন্য সম্পাদক দায়ী নন।